লকডাউন উঠে গেলেই ভাগ্য নির্ধারণ হবে পোস্তা বিবেকানন্দ উড়ালপুলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  করোনা আতঙ্ক কেটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পোস্তার ভেঙে পড়া বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যত চূড়ান্ত ভাবে নির্ধারিত হবে।

ওই উড়ালপুল সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে ফেলা হবে, নাকি নতুন করে গড়ে তোলা হবে? লকডাউন উঠলেই তা নিয়ে সমীক্ষা শুরু করবেন বিশেষজ্ঞকমিটি।

যদিও কেএমডিএ সূত্রে খবর সেতুটি নতুন ভাবে গড়ে তোলা সব থেকে ভালো। এক্ষেত্রে দুটি বিষয রয়েছে।

প্রথমত, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর উল্টোডাঙার হাডকো মোড় থেকে মানিকতলা হয়ে, বিডন স্ট্রিট পর্যন্ত নতুন একটি উড়ালপুলের পরিকল্পনা করছে।

দ্বিতীয়ত, বিবেকানন্দ সেতুর সঙ্গে তা তবে তা সবটাই নির্ভর করছে বিশেষজ্ঞ সংস্থার মতামতের ওপর।

উল্লেখ্য, পুরভোটের আগে পোস্তার ভেঙে পড়া বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে ফের উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। মূলত ওই উড়ালপুল নতুন করে চালু করা যায় কিনা তা দেখতে বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দিতে চলেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ #Coronavirus মহামারির প্রভাবে হতে পারে খাদ্যসংকট,রাষ্ট্রপুঞ্জ

মাসখানেক আগে টেন্ডার ডাকা হয়। সেই ডাকে সারা দিয়ে আবেদন করা সংস্থার মধ্যে দিল্লি ও কলকাতার দুই সংস্থাকে প্রাথমিক ভাবে বাছাই করা হয়েছে।

লকডাউন উঠে গেলে সংস্থা মনোনয়নের ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

সব ঠিক থাকলে আসন্ন পুরভোটের আগেই উড়ালপুল পুনর্নির্মানের কাজ শুরু করতে চায় কেএমডিএ।

রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, এর আগে ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত কোনও সংস্থাই সঠিক ভাবে কিছু জানাতে পারেনি। ব্রিজটি মেরামত করা হবে নাকি পুরো ভেঙে ফেলা হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি তারা। সে জন্য নতুন করে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেওয়া হবে। তারা সবটা খতিয়ে দেখে হেলথ সেফটি সার্টিফিকেট দেবে। সেই মতো উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশ মেরামত করে কী ভাবে আবার চালু করা যায়, তার জন্য পদক্ষপ করা হবে।

প্রসঙ্গত, উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে বেশ কয়েক জনের প্রাণহানি হয়েছিল। তারপর বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বর্তমান সরকার। ফলে আসন্ন পুরভোটে বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে পারে বিরোধীরা। তাই পুরভোটের আগেই কাঁটা তুলে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।

কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, বিবেকানন্দ উড়ালপুলের যে অংশটি এখনও অক্ষত রয়েছে, তার ভারবহন ক্ষমতা কতটা এবং গাড়ি চলাচলের উপযোগী কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখবে সংস্থা।

এমনকী উড়ালপুলের কোনও অংশ দুর্বল হলে সেটাকে কী ভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেবে তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট