#Coronaupdate লকডাউন সত্ত্বেও দেশে ৪ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত

ভারতে Covid19 আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩১৪ । গত ১২ ঘণ্টায় সামনে এসেছে ৪৯০টি পজিটিভ রিপোর্ট ।  

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক-  বিশ্ব ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি । 

দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে । কিন্তু কোনওভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণ । 

ভারতে Covid19 আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩১৪ । গত ১২ ঘণ্টায় সামনে এসেছে ৪৯০টি পজিটিভ রিপোর্ট ।  

মৃতের সংখ্যাও ১০০-র গণ্ডি পেরিয়ে গেল ।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা নিঃসন্দেহে ভারতবাসীর কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

রবিবার বিকেল পর্যন্ত এ দেশে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮৩। সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হল, Covid19-এর জেরে মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের । 

এদের মধ্যে বর্তমানে করোনার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ৩,৮৬৮ জন । সুস্থ হয়ে উঠেছেন কিংবা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩২৮ জন। 

মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি সবচেয়ে শোচনীয় । সেখানে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। 

এদিনই আবার মুম্বইয়ের ওকহার্ট হাসপাতালের কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভি আসায় সেই হাসপাতালকে সিল বা containment zone করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ।

আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু । যেখানে করোনা মোকাবিলায় এবার বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা শুরু করতে চলেছে সরকার । 

সোমবার রাজস্থান ও গুজরাটের ভোপালেও বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা । দুই রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরই নতুন করে আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছে ।

রবিবার রাতে কোটার এক হাসপাতালে ভরতি ৬০ বছরের প্রবীণের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজস্থানের স্বাস্থ্যদপ্তর । 

চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, তাঁর ভ্রমণের কোনও ইতিহাস না থাকলেও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল।

[ আরও পড়ুন : #Coronavirus দেশের যুব সম্প্রদায়ের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি,স্বাস্থ্যমন্ত্রক ]

এরই মধ্যে দেশে করোনার ‘হটস্পট’ সিল করে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক । 

তাদের অভিযোগ, “এভাবে আক্রান্তের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্টানের জমায়েতকেই চিহ্নিত করা হচ্ছে।” 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা দেশে সংক্রমণ ছড়াতে অনুঘটকের কাজ করেছে । 

সেই কারণেই করোনা ভাইরাসের এই ধরনের আঁতুড়ঘর একমাস সিল করে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে । 

তালিকায় ঢুকবে এমন এলাকা, যেখান থেকে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি। সবমিলিয়ে ভাইরাস রোধে সবরকম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

সম্পর্কিত পোস্ট