সেবায় প্রয়োজনীয়তা নেই রাজনীতির ,আসুন সবাই হাতে হাত ধরিঃ অতনু প্রসাদ মিত্র, খাদ্যদ্ৰব্য বন্টন -দিন ২
রাহুল গুপ্ত
করোনার মোকাবিলায় পথে নেমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অতনু প্রাসাদ মিত্র ওরফে ডিউক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় – সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক ইচ্ছায় অতনু প্রসাদ মিত্র কলকাতা পুরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ই এপ্রিল থেকে আগামী ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত দুবেলা করে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী বন্টন করছেন ।
৬ ই এপ্রিল, সকাল ৯.১৫ মিনিট
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন ও সাধারণ মানুষ হাজির ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেওধর স্ট্রিট এলাকায়।
রাস্তার ধরে ফুটপাথে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখেই দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষকে নির্দিষ্ট কুপনের বিনিময়ে
খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী বন্টন শুরু হয়। প্রত্যেকেরই মুখে মাস্ক। এদিন খাদ্য দ্রব্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল , ডাল , আলু , সোয়াবিন।
অতনুর বক্তব্য ” বেশি ভিড় নয় , মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই খাদ্য দ্রব্য বন্টন করা হচ্ছে। তিনি বলেন এঁরা কেউ গরিব নয় , এঁরা আমার আপনার মতোই পরিস্থিতির স্বীকার। তাই আসুন সবাই এক হয়ে এঁদের পাশে এসে দাড়াই ” প্রতেকেই এদিন খাদ্যদ্রব্য পেয়ে খানিকটা হলেও স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেন।
আরও পড়ুনঃ করোনার মোকাবিলায় পথে অতনু প্রসাদ মিত্র – খাদ্যদ্ৰব্য বন্টন – দিন ১
দুপুর ১২ টা
লক ডাউন চলছে শহর জুড়ে – তার মধ্যেই চাল , ডাল , আলু , সোয়াবিন এর মজুত আরও করে রাখলেন অতনু প্রাসাদ মিত্র। বললেন ‘ আমি মনে করি যদি আপনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করতে চান তাহলে রাজনীতির কোনও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন সুস্থ মানসিকতার। যা এখন আমাদের দরকার এই কঠিন পরিস্থিতিতে। আসুন রং ভুলে লড়াই করি হাতে হাত ধরে ” . তিনি আরও জানান ” যত দিন এই লক ডাউন চলবে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাবো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তাই আগে থাকতেই মজুত করে রাখা খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী।”
দুপুর ২ টো থেকে বিকেল ৫টা
জোর কদমে চচলছে চাল , ডাল , আলু , সোয়াবিন নিয়ে প্যাকিং । মানুষের কাছে পৌঁছোতে হবে যে তাড়াতাড়ি। কোথাও যেন এতো টুকুও খামতি না থাকে সে দিকে নজর অতনুর।
তিনি বলেন – ” এটা আমি কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে করছি না। সমাজের সব স্তরের মানুষ যাঁরা বেরোতে পারছেন না , যারা কিনতে পারছেন না এই অস্থির পরিস্থিতির জন্য তাদের জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আসুন সবাই এক হয়ে কাজ করি। লড়াই করি করোনার বিরুদ্ধে। ”
বিকেল ৫টা
৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান অঞ্চল , যেখানে দিন আনে দিন খায় মানুষের সংখ্যাই বেশি। এদিন অঞ্চলের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সৈনিক ভরত জানা , বিশাল সহ কয়েকজন কে নিয়ে অতনু গেলেন ওই অঞ্চলের বিভিন্ন পাড়ার ঘরে ঘরে। গেলেন ভাই ভাই সংঘের প্রতিটি ঘরে , নির্দিষ্ট কুপনের বিনিময়ে দিলেন খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী।
ভরত জানা বলেন – ” এই কঠিন পরিস্থিতিতে আপনারা কেউ বাইরে বেরোবেন না , খুব প্রয়োজনীয়তা ছাড়া। ”
অতনু বলেন ” দয়া করে মাস্ক পরে থাকুন। করোনাকে হারাতে গেলে আমাদের এক সঙ্গে ঘরে থেই লড়াই করতে হবে , আসুন সবাই এই শপথ করি ” .
সবাইকেই একটা অনুরোধ করোনা মোকাবিলায় এই কঠিন সময়ে আসুন রাজনৈতিক লড়াই ভুলে একে অপরের পশে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়ি। ভালো থাকুন – সুস্থ থাকুন। করোনাকে হারিয়ে মানব সভ্যতাকে জিততেই হবে।