জীবন জীবিকার এই লড়াই আমাদের জিততেই হবেঃ অতনু প্রসাদ মিত্র-খাদ্য দ্রব্য বন্টনের পঞ্চম দিন

রাহুল গুপ্ত

করোনার মোকাবিলায় পথে নেমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ব্রতী হয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অতনু প্রাসাদ মিত্র ওরফে ডিউক।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় – সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক ইচ্ছায় ও আশীর্বাদে  অতনু প্রসাদ মিত্রের খাদ্য দ্রব্য বন্টন প্রক্রিয়া চলছে কলকাতা পুরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চলে।

নিজস্ব চিত্র

সকাল ৯.৩০ মিনিট  

প্রতিদিনের মতো এইদিনও মানুষ সকাল থেকে লাইন দেন ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেওধর স্ট্রিট এলাকায়। রাস্তার ধরে ফুটপাথে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখেই দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষকে নির্দিষ্ট কুপনের বিনিময়ে খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী বন্টন শুরু হয়।

নিজস্ব চিত্র

প্রত্যেকেরই মুখে মাস্ক। শুধু যে ওই ওয়ার্ড বা অঞ্চল তা কিন্তু নয় , পাশ্ববর্তী অঞ্চল থেকেও কিছু মানুষ এদিন এলেন প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী নিতে।

আরও পড়ুনঃ #CoronaVirusUpdate: নিউ মার্কেটে করোনা প্রতিরোধক টানেল

অতনুর বক্তব্য ” সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে কমিউনিটি কিচেন করছেন যা সত্যিই ব্যতিক্রমী চিন্তা , এর ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে এই চিন্তা শুধুমাত্র তিনিই করতে পারেন ”

নিজস্ব চিত্র

দুপুর ১.৩০ মিনিট

অতনু প্রাসাদ মিত্রের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে মজুত করা হয় আরও চাল , ডাল , আলু , সোয়াবিন। সঙ্গে চলে দ্রুত গতিতে প্যাকিং। কেউ লিখছেন কুপন , কেউ করছেন প্যাকিং।

নিজস্ব চিত্র

বিকেল ৫টা

প্রথমে যাওয়া হয় ওই ওয়ার্ডের গুরুসদয় রোড সংলগ্ন আহারী পুকুর ১st লেনে , সেখানে সব মানুষ নির্দিষ্ট গোল দাগের মধ্যে এসে দাঁড়িয়ে খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী নেন।  সবেবরাত উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান একে অপরকে। কেউ পড়েছেন মাস্ক তো কেউ আবার কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকেছে।

নিজস্ব চিত্র

এরপর যাওয়া হয় হয় ওই ওয়ার্ডের বাকি অঞ্চলে।  সেখানেও প্রায় ৩০ টি পরিবারের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয় খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী।  সবাইকে বারবার সচেতন করলেন অতনু না বেরোনোর জন্য।  আগে জীবন , তারপর জীবনের বাকি সব কিছু বললেন অতনু।

৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের পেয়ারাবাগান অঞ্চল , যেখানে দিন আনে দিন খায় মানুষের সংখ্যাই বেশি। এদিন অঞ্চলের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সৈনিক ভরত জানা , বিশাল সহ কয়েকজন কে নিয়ে অতনু গেলেন ওই অঞ্চলের বিভিন্ন পাড়ার ঘরে ঘরে। গেলেন দেশবন্ধু ক্লাবের প্রতিটি ঘরে , নির্দিষ্ট কুপনের বিনিময়ে দিলেন খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী।

অতনু প্রাসাদ মিত্র  বলেন – এই কঠিন পরিস্থিতিতে আপনারা কেউ বাইরে বেরোবেন না , খুব প্রয়োজনীয়তা ছাড়া।

অতনু  বলেন ” দয়া করে মাস্ক পরে থাকুন। করোনাকে হারাতে গেলে আমাদের এক সঙ্গে ঘরে থেকেই  লড়াই করতে হবে , আসুন সবাই এই শপথ করি ” .

আসুন লড়াই জারি থাকুক আমাদের – করোনা কে হারতেই হবে , মানব সভ্যতাকে জিততেই হবে।  অপেক্ষা শুধু সময়ের।i

সম্পর্কিত পোস্ট