এ এক অন্য আমার শহর….

রাহুল গুপ্ত

এই শহর টা খুব কাছের। ভালোবাসার শহর। প্রেমের শহর। ব্যস্ততার শহর। রাজনৈতিক তর্জার শহর। মিটিং মিছিল – ট্রাফিক জ্যামের শহর। সাংস্কৃতিক পীঠস্থানের শহর।  কিন্তু আজ সম্পূর্ণ আলাদা – ভিন্ন,  শান্ত।  যেন ঘুমাচ্ছে শহর কলকাতা।

করোনা গ্রাসে সম্পূর্ণ লক ডাউন।  চলছে  না  বাস , ট্যাক্সি , অটো , ট্রাম।  নেই রাস্তার ধারে ফুটপাথের চা খাওয়া কিংবা আড্ডা মারা।  সব ঘর বন্দি আপাতত।

দেখিনি আজ থেকে ১০০ বছর আগের মহামারীর রূপ। শুনেছি , পড়েছি।  কিন্তু আজ আমরা সবাই সাক্ষী এই দৃশ্যের।  ২০২০ সাল গোটা পৃথিবীর মানব সভ্যতার লড়াই , বাঁচার তাগিদে।

আরও পড়ুনঃ ফুটপাথ বাসিন্দাদের পাশে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি

কেমন লাগছে আমার শহর টা কে আজ মনের ক্যামেরায় লেন্স বন্দি কলকাতার বিভিন্ন জায়গাগুলো।

ছবিঃ সম্পাদিত

জিপিও , কোর্ট চত্বর , টাউন হল , হাওড়া ব্রিজ , হাওড়া স্টেশন , বিধান সভা ভবন  আরও কতকিছু।  সব জায়গার এক ছবি – এক রূপ।

ছবিঃ সম্পাদিত

তার মাঝেই রাস্তার ধরে ওরা।  যাদের সারা বছরের ঠিকানা কেয়ার অফ ফুটপাথ।  ওরাও লড়ছে।

ছবিঃ সম্পাদিত

ব্যক্তি বিশেষ থেকে বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠন পথে নেমে দাঁড়িয়েছে ওদের পাশে , একেবারে প্রান্তিক মানুষজনদের পাশে।

ছবিঃ সম্পাদিত

ছোট্টো ছোট্টো শিশুরা আজ ঘরবন্দী , কিন্তু ওরা ফুটপাথেই রয়ে গেছে।  ওরাও তো শিশু , ওদেরও প্রাণ আছে , ওরাও হাসতে চায় , বাঁচতে চায় , একটু খেতে চায়।  তাই চেষ্টা করতেই হবে সবাই কে একক একক ভাবে , ছোটো ছোটো প্রয়াস করে।

ছবিঃ সম্পাদিত

সন্ধ্যে নামার আগেই ফিরতে হবে যে , তাই যে দৃশ্য দেখলাম , ভালো লাগলো না হয়তো।  কিন্তু তারপরেও এই লড়াই জারি রাখতেই হবে বাঁচার তাগিদে।  আসুন সবাই এক হয়ে রাজনৈতিক তরজা , রঙের বিভেদ ভুলে একে অপরের পাশে দাঁড়াই।  এরপর এক নতুন শহর হয়তো দেখবো , সেই আসায় বুক বাঁধা।

সম্পর্কিত পোস্ট