করোনা আতঙ্কঃ এবার স্যানিটাইজেশন টানেল ভবানীপুর জগুবাবুর বাজারে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃবাজারে সংক্রমণ রুখতে স্যানিটাইজেশন টানেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় এফ হারলে অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড । এই কাজে এগিয়ে আসে কলকাতা পুরসভা ৷ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার স্যানিটাইজেশন চ্যানেল তৈরি হয়ে গেল ভবানীপুর জগুবাবুর বাজারে। রবিবার স্যানিটাইজ চ্যানেলের উদ্বোধন করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায় ও স্থানীয় কাউন্সিলর অসীম বোস।
লকডাউন চললেও বাজারগুলিতে মানুষের ভিড় আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। একাধিকবার পুলিশ ভিড় সরানোর চেষ্টা করলেও তা সব জায়গায় সম্ভব হয়নি। তবে সংক্রমণ রোখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর।
সেই প্রচেষ্টায় ভবানীপুর জগুবাবুর বাজারে এবার তৈরি হয়ে গেল স্যানিটাইজ চ্যানেল। বাজারে ঢোকার মুখেই বসানো হয়েছে এই টানেল। ফলে যারা বাজারে আসবেন তাদের কে এই টানেলের মধ্যে দিয়েই সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ হয়ে বাজারে ঢুকতে দেওয়া হবে।
এক বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এই ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। এদিন কলকাতার মেয়র জানিয়েছেন, “সবাইকে সামাজিক দুরত্ব মানতেই হবে। মুখে মাস্ক পড়ে বেরোতেই হবে।”
তবে এই টানেলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সুবিধা হল, “কারও সাথে স্পর্শ হলেও এই স্যানিটাইজার সংক্রমণ ঠেকাতে পারবে। আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো এই স্যানিটাইজার। এছাড়া যারা বাজারে টাকা দেবেন তাদের টাকা পয়সা একাধিক হাতে লাগলেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে না” বলে জানিয়েছেন মেয়র।
আরও পড়ুনঃ রেড জোন হাওড়া, লকডাউন মানাতে নাস্তানাবুদ পুলিশ কর্মী
এদিন তিনি নিজেও বাজারে প্রবেশ করেন এই টানেল দিয়ে স্যানিটাইজ হয়ে। তার সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ ছিলেন। মালা রায়ও স্যানিটাইজ টানেল দিয়ে বাজারে প্রবেশ করেন। তবে এদিন মেয়র বারবার সচেতন করেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষকেই।
তাঁর সাফ কথা, অযথা বাজারে ভিড় করা যাবেনা। বাজারে একে ওপরের ওপর ঠেলাঠেলি করবেন না। মাস্ক ব্যবহার করুন। আগামী দিনে কলকাতার বাকি পুর বাজারেও যাতে এই ব্যবস্থা চালু করা যায় সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই হগ মাকেটে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে। সরকার কাজ করলেও, মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে এদিন ফের সরব হয়েছেন মেয়র।
বিশেষ করে রাজ্যপালের এদিনের ট্যুইট নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “যারা এই সব লেখা, ট্যুইট করে আসলে বাংলার মানুষের কথা ভাবছেন না। ট্যুইট করা, চিঠি লেখা যারা যেটা করছে সেটা তাদের করতে দিন। বাংলার মানুষ জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাশে আছেন। হাজার বলার পরেও শোধরাবে না। যে শোধরানোর নয় সে শোধরাবে না।”
অন্যদিকে বিজেপির ট্যুইট নিয়েও তিনি সরব হয়েছেন, “নোংরামি করা হচ্ছে। যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা এই সব করছেন তারা মানব বিরোধী কাজ করছেন।”
মেয়রের বক্তব্য এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি না করে মানুষের পাশে থাকা উচিত। রাজ্য সরকার তা করছে।