আবার ছন্দে ফিরবে আমাদের মুম্বাই …. অপেক্ষা সময়ের , বাণিজ্য নগরীর কথা, পর্ব ২
রাহুল গুপ্ত
করোনা আক্রান্তে দেশের মধ্যে ভয়ানক জায়গায় বাণিজ্য নগরী মুম্বাই। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। এক মুম্বাইয়ে থাকা প্রবাসী বাঙালির কথায় ছন্দে ছন্দে এই রিপোর্ট।
” আজ আমরা একটা কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার ..কত ঘরে হাহাকার ..কতজনে হারিয়েছে তার আপনজনকে ..তাই ভয় আতঙ্কে সব বন্ধ আজ তার নিজের ঘরে ।
” আজ আমরা একটা কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার ..কত ঘরে হাহাকার ..কতজনে হারিয়েছে তার আপনজনকে ..তাই ভয় আতঙ্কে সব বন্ধ আজ তার নিজের ঘরে …এরই মধ্যে চলছে আজও দ্বন্দ্ব আর ভেদাভেদ ..আচ্ছা আমরা শুধু আমার আমার করে থাকি ,,,যে আগুনে আমি পুরি সেই আগুনে তুমিও পরও ..এক হয়ে যায় আগুন তবু আমাদেরই দু ভাগ কাঁটাতারে সীমানাতেই আটকে গেছে এদেশ ও দেশ …মানুষ গুলো লড়ছে শুধু ..নেতারা সব দেখছে বেশ …..কবে শেষ হবে মানুষে মানুষে এই ভেদ .. ”
শুধু কলকাতায় নয় বাণিজ্য নগরীতেও দারিদ্র মানসূহের পাশে দাঁড়ালো মানুষই। ৫ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন বস্তি অঞ্চলগুলোতে প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্ৰব্য সামগ্রী। সারা বছরের জমানো টাকা দিয়ে এঁরা মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। হাত বাড়িয়েছে সাহায্যের। দিচ্ছেন প্রতি ঘরে ঘরে খাদ্য দ্ৰব্য সামগ্রী।
রয়েছে ৫ কেজি করে চাল , ৩ কেজি আটা , ১ কেজি তেল , ২ কেজি আলু , ৩ কেজি পেয়াঁজ , ১ কেজি চিনি , ২৫০ গ্রাম চা , বেসুন ১ কেজি , খেজুর ২৫০ গ্রাম ও ১ কেজি ডাল। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ কেজির এই বস্তা দেওয়া হচ্ছে।
করোনার ভয়ঙ্কর গ্রাসে বাণিজ্য নগরী, পর্ব-১
যে পাঁচ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন এই কর্মকাণ্ডে রয়েছেন তারা হলেন আফজাল শেইখ , সাজিদ শেইখ, ওয়াহিদ শেইখ , অজগর সোলকের এবং হাজি ইরফান।
আসুন সবাই মিলে এইভাবেই মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়ে লড়াই করি।
লড়াই করে আবার নিজের ছন্দে ফিরবে আমার আপনার প্রিয় শহর মুম্বাই , আবার আকাশে উড়বে মুম্বাই গামী বিমান। অপেক্ষায় থাকা।
করোনাকে হারতেই হবে , মানবসভ্যতাকে জিততেই হবে। .