গোরু, ছাগল, বিড়াল সহ একাধিক প্রাণীর শরীরে ঢুকতে পারে করোনা : চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাদুড় থেকে করোনা ভাইরাস এসেছে নাকি প্যাঙ্গোলিন থেকে? তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এখনও। তবে মানুষের শরীর থেকে যে অন্যান্য প্রাণীর শরীরেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে, সেই প্রমাণও সামনে এসেছে।
একটি বিড়াল, এমনকি এক বাঘিনীকেও সংক্রামিত হতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি, জানা গেল শুধু বিড়াল কিংবা বাঘ নয়, একাধিক প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করতে পারে এই ভাইরাস।
সম্প্রতি, এক গবেষণায় এই তথ্য মিলেছে। প্যারিসের প্যাস্তুর ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে রয়েছে এই তথ্য। ‘ডেলি মেল’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেই গবেষণার রিপোর্ট।
লকডাউনে স্তব্ধ জার্মানির পাবলিক লাইব্রেরি
হুনান ইউনিভার্সিটি-র গবেষকরা ২৫১ ধরনের প্রাণীর ফুসফুসের ধরন খতিয়ে দেখেছেন যে, তাদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে কিনা।
সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাদুড় কিংবা মানুষ থেকে সংক্রমানিত হতে পারে ১০ রকমের প্রাণী। তাদের শরীর থেকে আবার ভাইরাসের মিউটেশন হয়ে নতুন চেহারায় মানুষের শরীরে সংক্রমণ হতে পারে।
প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে গোরু, বিড়াল, ছাগল, ভেড়া, শূকর, পায়রা, ষাঁড়।
উহানের ইনস্টিটিউট আফ ভাইরোলজির প্রাক্তন গবেষক জিং ই গে-র তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন ২০০৩ সালে সার্স ছড়িয়ে পড়ার সময়ও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। সেইসময় বাদুড় থেক বিড়ালের শরীর পেরিয়ে মানুষের শরীরে ঢুকেছিল ভাইরাস।
গবেষকরা দেখেছেন, মানুষের শরীরে থাকা ACE2 নামে এক প্রোটিন রিসেপটরের মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
আর ওইসব প্রাণীদের শরীরেও একই ধরনের প্রোটিন রিসেপটর আছে। তবে বিড়াল বিপজ্জনক হলেও কুকুর খুব একটা বিপজ্জনক নয় বলে জানা গিয়েছে।
বাদুড় থেকে করোনা ভাইরাস এলেও মানুষের সঙ্গে যেহেতু বাদুড়ের সাক্ষাতের সম্ভাবনা কম, তাই সরাসরি ওই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।
এক্ষেত্রে দু রকমের থিওরো দেখাচ্ছেন বেশির ভাগ গবেষক। এক, বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে প্যাঙ্গোলিনের শরীরে। আর সেই প্যাঙ্গোলিন বিক্রি হয় চিনের বাজারে। দুই, গবেষণাগার থেকে লিক হয়ে গিয়েছে ভাইরাসের নমুনা।