করোনা আপডেটঃ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগামী ৩ মে’র পরেও লকডাউন থাকুক। আর তা পর্যায়ক্রমে তোলার পক্ষে সওয়াল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ মে’র আরও দু’সপ্তাহ পরে কেন্দ্রের ১০০ শতাংশ লকডাউন প্রত্যাহার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন আগে ওই সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন মমতা। সেখানেই লক ডাউন ধাপে ধাপে তোলার কথা জানান নাগরিক মমতা।
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যের হিসাবে ৪০০ ছাড়িয়েছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। যদিও কেন্দ্র বলছে সংখ্যাটা ৬০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোড় রাজনৈতিক তরজা।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক হবে। আর তাঁর আগে নাগরিক হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাক্ষাৎকার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা ভুল তথ্য দিয়েছে মন্তব্য ডাঃ শান্তনু সেনের
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিক এবং তৃণমূল নেত্রী হিসেবে আমি চাই লকডাউন জারি থাকুক।’ তাঁর মতে, ‘৪ মে থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহে ২৫ শতাংশ লকডাউন প্রত্যাহার করা হোক।
আগামী ৪ মে-র পরে দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫০ শতাংশ পুনরায় খুলে দেওয়া হোক। আর ৪ মে-র দু সপ্তাহ পরে সম্পূর্ণ লকডাউন প্রত্যাহার করা হোক।’ এভাবে লকডাউন তোলা হলে একদিকে সংক্রমণের হারও কমানো যাবে অন্যদিকে পরিস্থিতিও সামাল দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কি এই বিষয়টি জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রসঙ্গে ওই সংবাদমাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে যদি এই বিষয়টি থাকে এবং আমাকে যদি বলতে বলা হয় সে ক্ষেত্রে নিজের বক্তব্য অবশ্যই জানাব।’
লকডাউন প্রত্যাহার করা হলেও এখন কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। তাঁর মতে, প্লেন, রেল, দূরপাল্লার ট্রেন অবশ্যই এই পরিস্থিতিতে বন্ধ রাখা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয়, হটস্পটগুলিতে নজরদারি আরও বাড়ানো উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
এই অবস্থায় সোমবার বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে থাকার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। সেই বৈঠকে কি হয় সেটাই এখন বড় প্রশ্নের।