লকডাউন পরবর্তী উপায় বাতলালেন ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আরো বাড়লো লক ডাউন। ৪ তারিখ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত বেড়ে হলো। লক ডাউন পর্ব ৩.. তারপর তা আরও টানা হবে না সেদিনই শেষ হবে, তার এখনও নিশ্চয়তা নেই।
কিন্তু এই করোনা ও লকডাউনের ধাক্কা কতটা সামলে উঠতে পারবে ভারতীয় অর্থনীতি? ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি জানাচ্ছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ।
তিনি বলেছেন,
- আগামী এক দেড় বছর ভারতীয়দের করোনা নিয়ে বাঁচতে শিখতে হবে।
- সংস্থাগুলিকে আরও সাবধান হতে হবে। সব মিলিয়ে ভারতীয়দের আরও বেশি করে পরিশ্রম করতে হবে। যাতে অর্থনীতি আবার পুরনো জায়গায় ফিরে আসে।
- সংস্থাগুলির তথ্যের ওপর নির্ভর করে বিশ্লেষণ করা উচিত। কোন জায়গায় করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা সব থেকে বেশি। তারপর সেইমতো তৈরি করা উচিত কারখানা।
- বয়স্কদের এই রোগে সব থেকে বেশি সঙ্কট তাই কোম্পানিদের ভাবতে হবে, কীভাবে কর্মীদের আরও ভালভাবে রক্ষা করা যায়।
- গাউন, দস্তানা, মাস্ক, গগলস- যা দেওয়ার দেওয়া হোক তাঁদের। বয়স্করা কাজ করুন বাড়ি থেকে।
- এ ব্যাপারে কারও মতামত নয়, নির্ভর করা হোক তথ্যের ওপর।
লকডাউনে থমকে রেলের চাকা, আটকে বহু প্রকল্প , ক্ষতি কয়েক হাজার কোটি
তিনি আরও বলেছেন,
- যদি দিনে এক লাখ মানুষেরও করোনা পরীক্ষা হয়, তবে সবার পরীক্ষা শেষ হতে হতে ৩৭ বছর কেটে যাবে।
- তাই ভারতীয়দের উচিত, আগামী এক দেড় বছর এই রোগের সঙ্গে কাটানোর ব্যাপারে মনকে মানিয়ে নেওয়া।
- আর লকডাউনের ফলে বেহাল অর্থনীতিকে ঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে আমাদের সপ্তাহে ৬ দিন ১০ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে আগামী ২-৩ বছর। তাহলেই অর্থনীতি দ্রুত আগের জায়গায় ফিরে আসবে।
- সরকারেরও উচিত, সম্মানীত অভিজ্ঞ মানুষদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা।
- যাঁরা দেখবে কীভাবে সব রকম সমস্যা দূর করে সহজে ব্যবসা করা যায়। ১৯৯১-এর আর্থিক সংস্কারের সময় যেমনটা ঘটেছিল।
মুর্তি আরও বলেছেন,
- ছোট কোম্পানি আর স্টার্টআপের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া সহজ করার নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
- এর ফলে আগামী ৩-৬ মাস তাদের পক্ষে কাজ করা সহজ হবে।
- এগুলো আগেই করা উচিত ছিল, তবে এখনও খুব একটা দেরি হয়নি।