লকডাউনে ঘরবন্দিদের হাতে অনলাইনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অনলাইনে মুক্ত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https:/www.caluniv.ac.in অথবা https:/www.culibrary.ac.in) গিয়ে এই অনলাইন লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন উৎসাহীরা।
কেবল বইপত্র, জার্নাল বা পিএইচডি থিসিসই নয়–অনলাইনে পাওয়া যাবে বহু মহার্ঘ নথি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, গবেষক বা শিক্ষকরাই নন, এবার শতাব্দী পেরোনো লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন যে কেউ। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছেন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।
লকডাউনের পর পরিবর্তন মেট্রো রেলে, টোকেনের বদলে স্মার্ট কার্ডেই জোর
কী কী পাওয়া যাবে এখানেঃ
- যেমন ১৮৬১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সমাবর্তনের অভিভাষণ,
- ১৮৭০ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত ঐতিহ্যবাহী টেগোর ল’লেকচার, ইউনিভার্সিটি কমিশন রিপোর্ট,
- ১৮৫৭ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট,
- সিন্ডিকেট বৈঠকের ধারাবিবরণীও মিলবে।
- ১৯৬০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পিএইচডি, ডিলিট, ডিএসসি থিসিসের মতো তথ্যও পাবেন উৎসাহীরা।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, তাঁদের ঐতিহ্যশালী গ্রন্থাগারের দরজা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সব কিছু ঠিক থাকলে এতদিনে হয়তো খুলেও যেত। কিন্তু করোনা-ত্রাস ও লকডাউনে সে পরিকল্পনা হোঁচট খায়।
উপাচার্য বলেন, ‘প্রথমত, ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকদের সুবিধা-বৃদ্ধি আমাদের নৈতিক কর্তব্য। দ্বিতীয়ত, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের চার দেওয়ালের মধ্যেই জ্ঞান সীমাবদ্ধ নয়। এখন থেকে বহু মানুষ ঘরে থেকেও লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন।’
শতাব্দী প্রাচীন এই গ্রন্থাগারে রয়েছে দুষ্প্রাপ্য সব গ্রন্থ। পড়ার বইয়ের পাশাপাশি প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ৫২ হাজার বই কিনতে।
উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, ৫ কোটি টাকা তাঁদের ডিরেক্টরেট অফ লাইব্রেরি সায়েন্স থেকে দিয়েছিল। সর্ব সাধারণের জন্য খুলে যাওয়ার পর রাজ্য গ্রন্থাগার আরও ৩ কোটি টাকা দেবে।