পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই সঙ্গীন হচ্ছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাবস্থায় বিভিন্ন রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে চাইছেন। রুটি-রুজির সংকটে, তারা ফেরার জন্য মরিয়া।তাই কখনো পায়ে হেঁটে কখনো ট্রাকে চেপে বাড়ির পথ ধরেছেন এই পরিযায়ী শ্রমিকরা।

এর পরিণাম কখনো কখনো ভয়ঙ্কর হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পথ দুর্ঘটনার বলি হয়েছেন অনেকেই। অনেকে আবার বাড়ি ফেরার পথে রাস্তাতেই সন্তানপ্রসব করছেন। তারা বাড়ি ফেরার জন্য এতটাই মরিয়া, আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন না।

এই করুণ পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার সুখবর শোনালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি রাজ্যবাসীকে জানিয়ে দিলেন, আর ঝুঁকি নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার প্রয়োজন নেই। ট্রেনের মাধ্যমেই তাদের বাড়ি ফেরাতে চায় রাজ্য সরকার। এবং এক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবহনের সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্যই।

বিদেশ থেকে ফিরলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে, জানিয়ে দিল নবান্ন

উল্লেখ্য শনিবার ভোররাতে উত্তরপ্রদেশে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের 4 পরিযায়ী শ্রমিকের। বাড়ি ফেরার জন্য রওনা হলেও আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাদের। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিযায়ী শ্রমিকদের এমন পরিনতি তিনি চান না।

আর তাই এদিন তিনি এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন,‌পরিযায়ী শ্রমিকদের এই প্রচণ্ড লড়াইকে আমি স্যালুট করছি। আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে অন্য রাজ্য থেকে বিশেষ ট্রেনে যে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ‌পশ্চিমবঙ্গে ফিরছেন, তাঁদের ফেরার সমস্ত খরচ বহন করবে আমাদের সরকার। আলাদা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের আর কোনও খরচ করতে হবে না।’

সেখানে ট্যুইটের সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি চিঠিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে, সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে যে শ্রমিকেরা পশ্চিমবঙ্গে ফিরছেন, তাঁদের যাতায়াতের সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।

রেল মন্ত্রককে অনুরোধ তাঁরা যেন সমস্ত সংশ্লিষ্ট রেল বিভাগগুলিকে জানিয়ে দেন বিষয়টি। যে শ্রমিকেরা পশ্চিমবঙ্গে ফেরার ট্রেনে ওঠা পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে কোনও প্রকার অর্থ দাবি না করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী সব ট্রেনগুলি যেন সময়মতো চলে।’‌

এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হলেও বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, লক্ষ লক্ষ শ্রমিক রাজ্যের বাইরে রয়েছে। তারা এই মুহূর্তে রাজ্যে আসার চেষ্টা করছে। আমার রেল মন্ত্রকের সঙ্গে কথা হয়েছে। রেলের কোনো অভাব নেই। ১০৫ কেন মমতা সরকারের তরফ থেকেই যতগুলি ট্রেন যাওয়া হবে সবগুলি ট্রেন দেওয়া হবে। শুধুমাত্র এই ঘোষণায় আর মানুষ ভুলবেন না।

সম্পর্কিত পোস্ট