শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ বঙ্গে দিকে ধেয়ে আসছে আম্ফান, দুপুর থেকে হতে পারে বৃষ্টি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আরও শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনের আকার ধারণ করে ধেয়ে আসছে । এই সুপার সাইক্লোন বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে। দীঘা থেকে এটি ৭২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম এবং পারাদ্বীপ থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই সুপার সাইক্লোন ক্রমশ উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বুধবার দুপুরের পর সেটি দীঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্য দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
রাজ্যে বৃষ্টিপাতঃ
- কলকাতা,
- হাওড়া,
- দুই ২৪ পরগনা,
- পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর
- হুগলী জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
- বুধবার এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি এবং মালদা ও দুই দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে।
সেই সঙ্গে উপকূলবর্তী দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে এবং কলকাতা, হাওড়া, হুগলী এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ১-শো থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে।
দুই ২৪ পরগনার সমুদ্রের ঢেউ চার থেকে ৫ মিটার এবং পূর্ব মেদিনীপুরে তিন থেকে চার মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠতে পারে।
মৎসজীবীদের ২১-শে মে পর্যন্ত সমুদ্রে পাড়ি দিতে নিষেধ করা হয়েছে । হুগলী বন্দরে ৪ নম্বর এবং সাগরদ্বীপ বন্দরে ২,৪ ও ৫ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
এদিকে, আম্ফানের প্রভাবে তাপমাত্রা বেশকিছুটা বেড়েছে। কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের তুলনায় যা ৩ ডিগ্রী বেশি।
মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রী ওপরে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে শহরে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে ও তার মোকাবিলায় কলকাতা পুরভবনে পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২৪ ঘন্টাই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে, সবকটি পাম্পিং স্টেশন চালু থাকছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রতিটি বোরোতে টিম থাকছে। বাতিস্তম্ভগুলোতে যাতে বিদ্যুতের তার বেরিয়ে না থাকে সেই দিকটি বিদ্যুৎ বিভাগকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা সিইএসসিকেও কেবল যাতে ভেঙে না পড়ে সেই দিকটি লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। যারা বাড়িতে থাকতে নিরাপদ বোধ করবেন না, তাদের জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।