রাজ্যে আমফানের বলি ৭২, শনিবার ক্ষতিগ্রস্থ সুন্দরবন পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক:আমফান তন্ডবে ছত্রভঙ্গ রাজ্য। ঝড়ে ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। তার মধ্যে ১৫ জন কলকাতায়,উঃ ২৪ পরগণার ১৭,হাওড়ায় ৭,পূর্ব মেদিনীপুরে ৬।

মৃতদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নবান্নে আজ দুপুরে আমফান-এর ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা বৈঠকের পর তিনি বলেন,কেন্দ্রকে সাহায্য করতে হবে।শনিবার সুন্দরবন অঞ্চল পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।

ঘূর্ণিঝড় আমফান-এর তাণ্ডবে জগদ্দল,ভাটপাড়া বিধানসভা এলাকা লন্ডভন্ড। উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছ,বিদ্যুতের খুঁটি।

বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা কাল রাত থেকেই পরিষেবা স্বাভাবিক করতে  অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।

শহরের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন ,আজ সকাল পর্যন্ত কলকাতায় ৩৭৮ টি গাছ পড়েছে, ৯ টি বাড়ি ভেঙেছে।

আমফান -এর প্রভাবে পূর্ব  বর্ধমান জেলায় বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি, ধান ও সবজির ক্ষতি হয়েছে।  জেলায় প্রায় ৪৯৫ টি কাঁচা বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। আংশিক  ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৪৩২০ টি। ৯৪০ জনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গলসি ১নং ব্লকের বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি। জেলার রায়না ও বর্ধমান ২ নং ব্লকে দেওয়াল চাপা পড়ে ১১ টি গবাদি পশুর মৃত্যু  হয়েছে বলে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

নদীয়ার কল্যাণীতে #আমফান-এর দাপটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরজুড়ে কয়েক হাজার গাছ ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের স্তম্ভ।

কলোনি এলাকায় কাঁচা বাড়ির অধিকাংশই হয় ভেঙে পড়েছে, না হয় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোটা শহর জুড়ে লন্ডভন্ড অবস্থা।

বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়ে পড়েছে। আপৎকালীন ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে কল্যাণী পৌরসভার চেয়ারম্যান সুশীল তালুকদার জানিয়েছেন।

আমফান-এর দাপটে মুর্শিদাবাদে প্রানহানি বা বড়সড় বিপর্যয় না ঘটলেও প্রচুর ফসলহানী হয়েছে। বিশেষ করে শস্যগোলা কান্দি মহকুমায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ধানে।

ইসলামপুর, ডোমকল, জলঙ্গী প্রভৃতি এলাকায় কলা চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিঘার পর বিঘা কলা গাছ ভেঙে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে আম লিচুর মরসুমে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আম-লিচু চাষীরা। জেলায় প্রায় ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর লিচু বাগান ও ২১ হাজার হেক্টর আমবাগানের প্রায় ৫০ শতাংশই নষ্ট।

সম্পর্কিত পোস্ট