লকডাউনের মধ্যে কাজ এগিয়ে রাখছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তারা, বাড়ি থেকেই নম্বর সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একদিকে করােনা ও অন্যদিকে আমফান এই দুইয়ের জোড়া ফলায় ত্রস্ত রাজ্য। এখনো সবকিছু স্বাভাবিক না হলেও সরকারি তরফে জানানো হয়েছে লকডাউন অনন্তকাল চলতে পারে না। আর তাই চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষ দিকে এসে সক্রিয় হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
দ্রুত মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের লক্ষ্যে প্রধান পরীক্ষকদের বাড়ি থেকে নম্বর সংগ্রহের কাজ শুরু করলেন পর্ষদের কর্মীরা। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা ও আশপাশের এলাকার একাধিক প্রধান পরীক্ষকের কাছে থাকা নম্বরের শিট কর্মীদের মাধ্যমে পর্ষদ অফিসে জমা করা শুরু হয়েছে।
অনেকেই আবার ইতিমধ্যেই পর্ষদের অফিসে গিয়েও নম্বর জমা দিয়ে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। লোকজনের মধ্যে যেতে কোনভাবেই সংক্রমণ না ছড়ায় তাই পর্ষদের গেটে স্যানিটাইজিং মেশিন বসানাে হয়েছে। প্রত্যেককে জীবাণুমুক্ত করে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
পর্ষদের কাছে কিছুটা স্বস্তির খবর, ঘূর্ণিঝড়ের আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রধান শিক্ষকদের বড় অংশ করােনা-প্রকোপ উপেক্ষা করেই নম্বর জমা দিয়েছেন ।
সল্টলেকে হকারদের উদ্যোগে চালু কমিউনিটি কিচেন
এদিকে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিশেষ ক্যাম্প করে এই নম্বর সংগ্রহের কাজ শুরু করছে পর্ষদ। সূত্রের খবর, এখনও অনেক পরীক্ষকই খাতা জমা দিতে পারেননি। লকডাউন এবং যানবাহনের অভাবে তারা আসতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন।
তবে এখনও এঁদের জন্য আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। একাধিক প্রধান পরীক্ষকের বক্তব্য, এই অসুবিধার মধ্যে কাউকে জোর করে আসতে বলা যাচ্ছে না।
মাধ্যমিকের ফল কবে বেরতে পারে, সে বিষয়ে এখনও মধ্যশিক্ষা পরিষদ স্পষ্টভাবে কিছু বলেনি। ১ জুনের পর যদি লকডাউন উঠে যায় তখন দ্রুত রেজাল্ট বের করতে হবে। তাই যতটা সম্ভব কাজ এগিয়ে রাখছেন পর্ষদ কর্তারা।