ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা যাবে না, বিক্ষোভ বারাসাতে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বারাসাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিনরাজ্য থেকে আসার পরই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জট পাকাতে শুরু করেছে । অভিযোগ শ্রমিকরা যত্রতত্র বিচরণ করছেন। আবার প্রশাসন থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নিলে তাতেও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।
ফলস্বরূপ ক্ষোভ বিক্ষোভ, অবরোধ কিছুই বাকি থাকছে না। বৃহস্পতিবার রাতের পরে শুক্রবার সকালে আরও এক প্রস্থ বিক্ষোভ অবরোধ কর্মসূচি বারাসাতে।
স্থানীয় কলেজে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করতে দিতে নারাজ স্থানীয়রা করলেন অবরোধ বিক্ষোভ। শুক্রবার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে ১১ নম্বর রেল গেট আটকে অবরোধে সামিল হন বারাসাত পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে একদল স্থানীয় মানুষ।
তাঁদের বিক্ষোভে হতাশা প্রকাশ করেন বারাসাত পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা সুনীল মুখাৰ্জী। তিনি বলেন মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিক্ষোভকারীদের পুরো বিষয় ভাবা উচিত। প্রাক্তন এক কাউন্সিলর লোক খেপিয়ে অবরোধ করছেন এবং অবরোধ অমানবিক আবদারে ভরা।
সুনীল মুখার্জী জানান যাঁদের করোনা পসিটিভ রিপোর্ট আসছে তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। যাঁদের নেগেটিভ রিপোর্ট তাঁদের জন্য ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মিলে গেল পূর্বাভাস, রাজ্য জুড়ে শুরু প্রাক বর্ষার বৃষ্টি
তিনি এও জানান, ভিনরাজ্যে কাজ করে ঘরে ফেরা মানুষরা যাঁরা করোনা আক্রান্ত নন এবং বারাসাতের বাসিন্দা তাঁরা যেন যাতে রোগ সংক্রমণের কারণ না হয়ে ওঠেন সেজন্যই স্থানীয় এক কলেজকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার ভাবনা নেওয়া হয়। আর এখানেই আপত্তি প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপক দাসগুপ্তের।
তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, লকডাউন ও সুপার সাইক্লোনে মানুষ অসহায়। তাঁর দাবী, অসহায় মানুষদের আতঙ্ক বাড়াতে ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের নিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা যাবে না।
তাঁর বক্তব্য, যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁদের ৮০ শতাংশ লোক করোনা আক্রান্ত বা রোগের আশংকা রয়েছে। এসময় প্রশাসন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছেন, অভিযোগ দীপক দাসগুপ্তের।।