চিন নির্ভরতার মাসুল, WHO-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন আমেরিকার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সারা বিশ্ব জুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। যা নিয়ে আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)এর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় আমেরিকার। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় অনুদানও।
তবে এবার সবকিছু ছাপিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করল আমেরিকা। এমনই জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায়, শুধুমাত্র চিনকে আড়াল করতে গিয়ে সমগ্র বিশ্বকে এক কঠিন সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
- করোনা অতিমারি নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও নিজেদের প্রয়োজনীয় সংস্কার করেনি তারা।
- ১৮ মে তিনি চিনকে হুঁশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেছিলেন আগামী ৩০ দিনের মধ্য কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না গ্রহণ হলে সদস্যপদ প্রত্যাহার করতে পারে আমেরিকা।
- তবে হুঁশিয়ারীর ১২ দিনের মাথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এহেন পদক্ষেপ নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে তা এক প্রকার স্পষ্ট।
- ট্রাম্পের কথায়, “চিনে যখন ভাইরাসটা প্রথম পাওয়া গেল, তখন সে দেশের কর্তারা নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা ভুলে হু-কে চাপ দিয়েছেন বিশ্বকে ভুল পথে চালিত করার জন্য। চিনা সরকারের ভুলের মাসুল দিচ্ছে বিশ্ব।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া বছরে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার অনুদান এবার থেকে অন্য সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পে খরচ করা হবে বলে জানান ট্রাম্প।
এই চিন নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে WHO-কে একগুচ্ছ সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। সেই সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়ায় WHO-র সঙ্গে বন্ধুত্বে আমেরিকা ইতি টানছে বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এখানেই শেষ নয়, হংকং প্রসঙ্গেও এদিন চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “চিন বলেছিল, হংকংয়ের স্বশাসনকে রক্ষা করবে। সেই কথা তারা রাখেনি। যাঁরা হংকংয়ের স্বশাসন খর্ব করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব।”
একইসঙ্গে চিনা নাগরিক ও পড়ুয়াদের জন্য বন্ধ হতে চলেছে মার্কিন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা। আগামীদিনে তাঁরা আর মার্কিন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন না।
প্রসঙ্গত, মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়া এই মারণ ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ লক্ষ ছুঁইছুঁই।
মধ্যে মারা গিয়েছেন ৩ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। ভাইরাসে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। শুধুমাত্র সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ লক্ষ ৮৭ হাজার।আমেরিকায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে।