কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের মৃত্যু, প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার জর্জ ফ্লয়েড নামের কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানের মৃত্যুর পর থেকেই রণক্ষেত্র আকার ধারন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহর।

মিনসোটা শহর থেকে লস এঞ্জেলস, আটলান্টা সহ একাধিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের আগুন৷ প্রতিবাদের আগুন নেভাতে সরকার সমস্ত পদক্ষেপ নিতে রাজি বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মিনসোটা, লস এঞ্জেলস, আটলান্টা এবং ফিলাডেলফিয়ার একাধিক শহরে কার্ফু জারি করা হয়।

কিন্তু কার্ফুকে উপেক্ষা করেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখায় সাধারণ মানুষ। লস এঞ্জেলসে পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় প্রতিবাদি সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবার ব্যালট ব্যবহার করে পুলিশ।

চিকাগো এবং নিউ ইয়র্কের একাধিক জায়গায় পুলিশ এবং প্রতিবাদী সমর্থকদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। বহু জনকে আটক করে পুলিশ।

সোমবার মিনাসোটা শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে হাত বেঁধে পিছমড়া করে তার গলায় হাঁটু চেপে ধরে পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় জর্জের।

জর্জের মৃত্যুর ভিডিও রেকর্ড করেন পথচলতি কিছু মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। প্রতিবাদের আগুন গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও মিনাসোটা শহরে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়।

ঘটনার জন্য অতি বামপন্থী সমর্থকদের দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে কোনও শহরের ক্ষতিকে আমরা বরদাস্ত করব না। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

আমাদের সরকার এই আন্দোলনকে প্রতিহত করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোনওভাবেই আর প্রতিবাদের আগুন যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য আতিরিক্ত সেনাবাহিনীর আবেদন করেছেন মিনেসোটার গর্ভনর টিম ওয়ালজ।

ট্রাম্পের এহেন মন্ত্যব্যের পরেই মিনেপলিশ, চিকাগো, নিউ ইয়র্ক, মায়ামি, ফিলাডেলফিয়া সহ একাধিক শহরে প্রতিবাদের আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ কোভিড-১৯ এর গ্রাসে আক্রান্ত লক্ষাধিক মানুষ। তারই মধ্যে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন শ্বেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গ সকলেই। “আই কান্ট ব্রিথ” এবং “ব্ল্যাকস লাইভ ম্যাটার” পোস্টার ছেয়ে গিয়েছে চারিদিকে।

সম্পর্কিত পোস্ট