হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোচবিহার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ক্রমেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে কোচবিহার জেলায়। শনিবার ৩২ জনের পর রবিবার আরও ৩৭ জনের শরীরে মিলল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি। জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, রবিবার রাত পর্যন্ত নতুন করে আরও ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ জন।
আক্রান্তরা সকলেই ভিন রাজ্য থেকে কোচবিহারে ফিরেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে।
জেলার ২৩টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দিনহাটা ১, দিনহাটা ২, তুফানগঞ্জ ১, সিতাই এই চারটি জায়গায় ২৩টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করলো কোচবিহার জেলা প্রশাসন।
নতুন করে আক্রান্তদের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে কোচবিহার সদরে ২১ জন, তুফানগঞ্জে ৯ জন, মাথাভাঙায় ৫ জন এবং দিনহাটায় ২০ জন। তাঁদের বেশিরভাগ জনই কোয়রান্টিন সেন্টারে রয়েছেন। বেশ কয়েকজন হোম কোয়রান্টিনেও রয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দ্রুত পদক্ষেপ করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।”
এ ছাড়া, এ দিন থেকেই কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ট্রুন্যাট ল্যাব চালু করা হয়েছে। সেখানে ২৫ থেকে ৩০ জনের পরীক্ষা হতে পারে। এ রকম ল্যাব জেলায় ৩টি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর বাইরে মেডিক্যাল কলেজে আরটি পিসিআর ল্যাব চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপরে নির্ভর করতে হবে না।
শনিবার কোচবিহার জেলায় এক ধাক্কায় ৩২ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। এই খবর ছড়িয়ে পরতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গোটা জেলার মানুষ। কোচবিহার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার সকালেই ঘোষণা করা হয় জেলায় ৩২ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এরপরই তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন।
কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পালের নেতৃত্বে পুরসভা ও পুলিশ-প্রশাসন রবিবার কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে বিশেষ অভিযান চালায়। পাশাপাশি যে সমস্ত দোকান নিয়ম ভঙ্গ করে খোলা রেখেছিল, তাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবিলম্বে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।