করােনা ও আমফান এই উভয় সংকটে কীভাবে মানুষের পাশে ছিল তৃণমূল, প্রচার করবে দল
সর্নিকা দত্ত
ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূলের ভােট কুশলী প্রশান্ত কিশাের বারে বারেই একটা কথা বলেন, বিরােধীদের কথার জবাব দিয়ে তাদের প্রচারের আলােয় আনা নয়, বরং পারলে নিজেরা যা করেছাে তাই বল।
করােনা আবহে গত কয়েকমাস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল। এই সময় কখনও রেশন দূর্নীতি, কখনও আমফানের ত্রাণ নিয়ে শাসক বিরােধিতায় ময়দানে দেখা গিয়েছে বাম- কংগ্রেস-বিজেপিকে।
তাদের সঙ্গে তরজায় না জড়িয়ে গত কয়েক মাসে তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তথ্য প্রমাণ সহ তা তুলে ধরবে দল।
বুধবার রাজ্যের সমস্ত জেলা কমিটি এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবে। সেই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কীভাবে দল এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে ছিল তা তুলে ধরা হবে।
জানা গিয়েছে, এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দল মূলত তিনটি বিষয় তুলে ধরবে ।
সরকারি ত্রাণে খবরদারি নয় : অভিষেক
প্রথমত , লকডাউনে ওই জেলায় কত সংখ্যক মানুষের খাবারের ব্যবস্থা দল করেছে । এক্ষেত্রে কত সংখ্যক মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে । আর কত সংখ্যক মানুষকে রান্না না করা খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে । সেই তথ্য দেওয়া হবে । পরিসংখ্যান দেওয়া হবে নাম ঠিকানা সহ ।
দ্বিতীয়ত, আমফান ঝড়ের পরে বিপর্যস্ত ষােল জেলায় কীভাবে মানুষের পাশে দল দাঁড়িয়েছে। কীভাবে উদ্ধার কাজে দলের ছেলেরা নেমেছে । কীভাবে ত্রাণকাজে তাঁরা হাত লাগিয়েছে সেই তথ্যও তুলে ধরা হবে ।
তৃতীয়ত , আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকার সরকারের মতাে করে মানুষকে সাহায্য করছে । কিন্তু এই সময় দলের তরফে যাদের ভেঙে পড়া গাছ কাটতে, বাড়ি সারাতে দল সাহায্য করেছে তাও তুলে ধরা হবে এই সাংবাদিক সম্মেলনে।
লকডাউনের সময়ে তৃণমূলের লক্ষ্য ছিল রাজনীতি নয় নীরবে মানুষের জন্য কাজ করা। এর সুযােগ নিয়েছে বিরােধী দলগুলি। এই সুযােগকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তারা।
এবার যখন আনলক ১ ঘােষণা হয়ে গিয়েছে ঠিক তখন সামাজিক দূরত্বের বিধি না ভেঙে মানুষের সামনে এটাই তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল বিরােধী প্রচারের কোনও ভিত্তি নেই। মানুষের পাশে আগেও যেভাবে ছিল তৃণমূল। এই দুর্দিণেও সেভাবেই থেকেছে তারা।