সিইএসসির অপ্রস্তুতির জন্য কলকাতা বাসীদের ভুগতে হয়েছে: বিদুৎমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সিইএসসির সঙ্গে যুক্ত না থেকেও আমফান ঘূর্ণিঝড়ের পর শহর কলকাতা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় বিদুৎমন্ত্রী হিসাবে তাঁকেই মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে রবিবার মানুষের সেই ক্ষোভ যে অস্বাভাবিক কিছু নয় মেনে নিলেন শোভনদেব পট্টোপাধ্যায়।এদিন রাসবিহারীতে নিজের দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদুৎমন্ত্রী শহর কলকাতা বিদ্যুহীন থাকার জন্য সি
ইএসসি অপ্রস্তুতিকে দায়ী করলেন।এদিন তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়,বেসরকারি সংস্থা “ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন’-এর অপেশাদার কাজকর্মে সরকার বিরক্ত।
তিনি বলেন, “সিইএসসির কাজে খুব একটা খুশি হতে পারিনি। সাধারণ বহু মানুষ সিইএসসি নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি এ বিষয়ে কথা বলেছি সিইএসই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। রাজ্যে কোনও মানুষ যদি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আমাকে কিছু জানাতে চায়, তাহলে আমি সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।”
উন্নয়ন দিয়েই বিরোধীদের কুৎসা ও অপপ্রচারের মোকাবিলা করা হবেঃ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
তিনি আরও বলেন, “সিইএসসি হয়তো ভেবেছিল প্রত্যেকটি ঝড়ের মতো এই ঝড়ও কলকাতাকে এড়িয়ে যাবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। এবং সেই পরিস্থিতিতে শ্রমিক অপ্রতুলতার কারণে তারা পরিষেবা দিতে পারেনি। কিন্তু মানুষ পরিষেবা পায়নি, আমাদের কাছে সেটাই বড়। আগামী দিনে যাতে এমন পরিস্থিতি না হয় সেই বিষয়ে সিএইসসির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
লকডাউন পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষের বাড়িতে অসম্ভব বেশি বিল পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সিইএসসি-র বিরুদ্ধে।এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেছেন, -আমার সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন লকডাউনের কারণে সঠিক ভাবে মিটার রিডিং করা যায়নি। তবে পরবর্তী সময়ে তারা আযাডজাস্ট করে দেবে।
সুন্দরবনের বহু জায়গায় এখনও বিদ্যুৎ্হীন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেল এমন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমনত্রী বলেছেন, ঝড়ের পর কলকাতা সহ মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি যে সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা ছিল তার ৯৯ শতাংশই মিটিয়ে দিতে পেরেছি।
কিন্ত সুন্দরবনের এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে বুক সমান জল রয়েছে।বুক সমান থাকায় যেসব জায়গায় খুঁটি পড়ে গিয়েছে সেখানে নতুন করে খুঁটি নাড়ানো পর্যন্ত বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে না। তাই সেখানে জল নামা পর্যন্ত আমাদের অপেকআ করতেই হবে।