শহরের রাস্তায় সাইকেল, পুলিশকে নির্দেশ মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: শহরে সাইকেলের জন্য আলাদা একটি রাস্তা হােক। সবুজপ্রেমী মানুষের এই দাবি দীর্ঘদিনের। তবে করােনা আবহে এই বিষয়টি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বহু মানুষ করােনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সাইকেলকেই তাদের ভরসা হিসাবে বেছে নেন।
কাজেই এই সময় দাবি ওঠে শহরে সাইকেলের ভিন্ন জোন তৈরি হােক। সােমাবার সাইকেল প্রেমীদের সেই দাবিকে এক প্রকার মেনেই নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী সোমবার সাংবাদিকদের জানান, ট্রেন ও বহু গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারার জন্য একটা সমস্যা হচ্ছে শহরজুড়ে। কারণ বহু লােক অফিসে আসতে পারছেন না। সেকথা মাথায় রেখেই কলকাতা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাইকেল চালানাের রাস্তা খোঁজার জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা হাজার পাঁচেক বাস চালাচ্ছি এখন। এছাড়া ট্যাক্সি-অটো-বেসরকারি বাস রয়েছে। কিন্তু ট্রেন তাে চলছে না। তাই অনেকেরই অসুবিধা হচ্ছে । তাই কলকাতা পুলিশকে বলা হয়েছে সাইকেল চালাতে হলে শহরের কোন কোন রাস্তা দিয়ে চালানাে যাবে তা দেখে নিতে।
তিনি আরও জানান, মূলত সাধারণের সুরক্ষার কথা ভেবেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সাইকেল চালাতে দেওয়া হয় না। কোন কোন রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্ট কম হবে। সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।
মূলত, ভেতরের ছােট ছােট রাস্তা, যা দিয়ে বড় রাস্তার গন্তব্যেই যাওয়া যায়, তা দেখতে হবে। পুলিশ দেখে নিয়ে তারপর নির্দেশিকা জারি করবে। কারণ, সাইকেল চালাতে না দেওয়ার কারণ দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে। সেটা আমার হাতে নেই। এটা দেখেই করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পুলিশ এটা দেখে নেবে। কিন্তু জীবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অফিসে যেতে দেরী হলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। তাড়াহুড়াে করা যাবে না। কিন্তু তার জন্য দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তা দেখতে হবে। তারপরেই নির্দেশিকা জারি করা হবে।
অর্থাৎ খুব শীঘ্রই কলকাতার বহু রাস্তাতেই সাইকেল চালাতে পারা যাবে, সেই পথেই এগােচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।
উল্লেখ্য, এদিন থেকেই সব সরকারি দফতরে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কর্মীদের বাড়ি থেকে দফতরে যেতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে কারণ বাস কম, চলছে ট্রেন। অগত্যা তাই অনেকেই সাইকেলে অফিসে যাচ্ছেন। এদিন তাদের স্বার্থের কথা ভেবেই সাইকেলের জন্য আলাদা রাস্তাকে মান্যতা দিচ্ছেন মমতা।