প্রদীপের নীচে অন্ধকার, উদাহরণ কুমারগঞ্জ ব্লকের আংগীনা গ্রাম

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হাজার পাখীর গ্রাম বলে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের আংগীনা গ্রাম বিখ্যাত।প্রচুর পারিযায়ী পাখী শীতের শুরু থেকে এসে ভীড় জমাতে শুরু করে।

আর প্রত্যেক বছর রুটিন করে জেলা তো বটেই জেলার বাইরে থেকেও পর্যটকদের সেই সব বিদেশি পারিযায়ী পাখী দেখার ঢল নামে এই আংগীনা গ্রামে।

শীত আসে শীত যায়, পর্যটকের আনাগোনা তো থাকেই। তা সত্ত্বেও এই গ্রামে চলাচল রাস্তার কোনো হাল ফেরে না। স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরও এই গ্রামে ঢুকতে হয় কাঁচা রাস্তায় হেঁটে।

ভরা বর্ষায় গ্রামের রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠতে হয়। হাঁটু পর্যন্ত ডুবে যায় কাদায়। যার ফলে অসুস্থ রোগী থেকে প্রসুতিদের নিকটস্থ বরাহার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে ওঠে। মানুষজন থেকে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের হামেশাই পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে ।

হাজার বসতির কুমারগঞ্জ ব্লকের সাফানগর এলাকার এই আংগীনা গ্রামের পাকা রাস্তার পাড়া থেকে ভেতরের যাওয়া পর্যন্ত রাস্তা কাঁচা থাকায় বিপাকে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। বর্ষায় তা একহাঁটু কাদাতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সঙ্গে জন্মদিন পালন করলেন ডাক্তারির প্রথম বর্ষের ছাত্রী শ্রেয়া

স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার পঞ্চায়েত ও উপর মহলে আবেদন জানিয়েও কোন সুফল পাননি। বাধ্য হয়ে গত  ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা অবিলম্বে রাস্তা পাকা করার দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

খবর পেয়ে বালুরঘাটের সাংসদ তথা জেলা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার ওই আংগীনা গ্রাম পরিদর্শনে যান। তিনিও এত বছর পরেও গ্রামে ঢোকার রাস্তা পাকা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিষয়টি স্থানীয় বিডিও এমনকি পঞ্চায়েত স্তরে জানিয়ে অবিলম্বে কাচা রাস্তাটি পাকা করার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাবেন বলে জানান।

তাতেও যদি সাড়া না মেলে তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক জোযনার অধীন রাস্তাটি করবার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন।

সাংসদ নিজেও বলেন আমাদের জেলায় পারিযায়ী পাখী আসার জন্য বিখ্যাত এই আংগীনা গ্রাম। আর সেই গ্রামের রাস্তার হাল এই যা চিন্তাও করা যায় না। এর নাম নাকি উন্নয়ন বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট