প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রীর চোখেও আমফানের পর বিভ্রাটের জন্য দায়ী সিইএসসি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আমফানের পরে শহর কলকাতা জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখােমুখি হয় মানুষ। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সিইএসসির মনােপলি বদলানাে উচিত বলে মনে করেন রাজ্যের প্রাক্তন বিদ্যুৎ মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত।

বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে মণীশ গুপ্ত বলেন, আমফানের ফলে রাজ্যের বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়েছে, তার ছিড়ে গেছে, এক্ষেত্রে সিইএসসির আগাম পরিকল্পনার অভাব ছিল বলে মনে করছেন মনীশ।

তাঁর মতে, এর ফলে মানুষের ভােগান্তি হয়েছে। মনীশ সিইএসসি র মনােপলি (একচেটিয়া অধিকার) বদলানাে উচিত। ওদের আন্ডারগ্রাউন্ড সাবস্টেশন আরাে বাড়ানাে উচিত ছিল।

রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা এসইডিসিএল গােটা রাজ্যে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনার কাজ দক্ষতার সঙ্গে করেছে। যাদবপুর বিধানসভা অঞ্চলে বিদ্যুতের খুব সমস্যা হয়েছিল।

ওরা বলেছে, এই অঞ্চলে অস্থায়ী লাইনগুলােকে স্থায়ী করা হবে। করােনা পরিস্থিতির পরে যেভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাকে নিশানা করেছেন তারও সমালােচনা করেছেন যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা মণীশ গুপ্ত।

চরম সংকটের মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের পাওনা টাকা দিচ্ছে না, তারপরেও বাংলাকে নিশানা করা হচ্ছে, বিজেপির এই নক্কারজনক রাজনীতির বিরােধিতা করে মনীশ গুপ্ত বলেন, রাজ্যের পাওনা অর্থ কেন্দ্র দিচ্ছে না। যে অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘঘাষণা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই কুড়ি লক্ষ কোটি টাকা আসছে কোথা থেকে ?

তিন আরও বলেন দেশে যে কয়লা উৎপাদন হয়, তার ৮০ শতাংশ কয়লা রাজ্য থেকে যায়। ক্লিন এনার্জি ফান্ডে জমা হওয়া রাজ্যের পাওনা অর্থ কেন্দ্র দিচ্ছে না। বাংলার মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে মিথ্যে কথা বলছেন। বিদ্যুৎ নিয়ে উনিশে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তা অসত্য। ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্য সরকার বিদ্যুতে ২৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিদ্যতের পরিকাঠামাে ও সম্প্রসারণের জন্য বিনিয়ােগ করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট