ডেপুটেশনের নামে হামলা, বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিডিও
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ডেপুটেশানের নামে হামলা। স্থানীয় বিধায়ক সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হরিরামপুর ব্লকের বিডিওর। তবে খেত মজুর ইউনিয়নের ওই ডেপুটেশানের সময় উপস্থিত ছিলেন না বলেই দাবি হরিরামপুর বিধানসভার সিপিএম বিধায়ক রফিকুল ইসলামের।
উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে বিডিও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে দাবি করেন ওই বাম নেতার। এদিকে দিন কয়েক ধরে চলা হরিরামপুর বিডিওর সঙ্গে স্থানীয় বিধায়কের বিরোধে শোরগোল তৈরী হয়েছে জেলায়।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। সেসময় হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়ক রফিকুল ইসলাম স্থানীয় ব্লকের বিডিও শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে জেলা শাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিডিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সারাক্ষণ গঞ্জিকা সেবন করে থাকেন। এছাড়া এলাকার মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের পাশাপাশি তিনি ঔদ্ধত্য আচরণ করেন।বিধায়কের সেই অভিযোগের পরেই অনেকটা বেকায়দায় পরেছিলেন বিডিও।
এরপর গত ৮ জুন বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বিডিওর কাছে ডেপুটেশান কর্মসূচি ছিল ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের। স্বাভাবিক ভাবেই সমাপ্ত হতে দেখা যায় সেই আন্দোলন কর্মসূচিকে। কিন্ত পরবর্তীতে বিডিও হরিরামপুর থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ ঘিরেই সরগরম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা।
করোনা পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত অপরিকল্পনার শিকার রাজ্যের সাধারণ মানুষঃ সুজন চক্রবর্তী
হরিরামপুর ব্লকের বিডিও শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খেতমজুর ইউনিয়নের ডেপুটেশনের সময় আমার ঘরে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। চশমা এবং চেয়ারটেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি আমাকে জামা ধরে টানাটানি করে হেনস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত বিধায়ক রফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন। তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছি।”
অন্যদিকে হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, “সারাদিন গঞ্জিকা সেবন করে নেশাগ্রস্থ থাকেন বিডিও। এছাড়া কৃষক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এর আগে বিডিও এক যুবককে ধাক্কা মেরে অফিস থেকে বের করে দিয়েছে। অফিসে এসে পাওয়া যায়না বিডিওকে। ফলে ব্লকের কাজকর্মেও হয়রানি হতে হয় মানুষকে। এনিয়ে আমি কয়েকদিন আগে জেলা শাসক এবং তার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিলাম। সেই কারণে আমাকে হেনস্থা করতে মিথ্যা হামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন বিডিও। আমরা ওই বিডিওর বিরুদ্ধে জোর আন্দোলনে নামছি। পোষ্টারিং এর পাশাপাশি আমরা অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন সংঘটিত করব।”