ভারত- চীন দ্বন্দ্বের আবহে বিপাকে কলকাতা মেট্রো
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভারত- চীন দ্বন্দ্বের আবহে বিপাকে কলকাতা মেট্রো। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সব রেকই যে এসি হবে সেটা এই প্রকল্প নির্মাণের প্রথম থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু কবি সুভাষ থেকে নোড়াপাড়া পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিন অভিমুখে যে মেট্রো চলে এখনও পর্যন্ত তার সব রেক এসি নয়। কার্যত শতকরা ৫৫-৪৫ হারে এখন কলকাতা মেট্রোয় এসি ও নন এসি রেক দৌড়ায় নিত্যদিন।
যদিও লকডাউনের আবহে এই পরিষেবা বিগত আড়াই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে আর কবে তা আবারও চালু হবে তা রাজ্য সরকারই জানে।
এই নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষগামী রুটেই সব মেট্রোকেই এসি রেক দিয়ে চালানোর দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন শহরের বাসিন্দারা, সেই দাবি মেনে চিন থেকে এসি রেক কেনার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই রেক আর পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ দেখা গিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের অন্দরে।
কলকাতার পুরোনো মেট্রোর সব রেক এসিতে রূপান্তরিত করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তাতে চিন থেকে ১৪টি এসি রেক আসার কথা ছিল। সেই সব রেক এসে গেলে কলকাতা উত্তর-দক্ষিন মেট্রোর সব রেকই হত এসি পরিষেবাযুক্ত।
দেশে ফিরতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বাংলাদেশে আটকে পড়া শিক্ষক
কিন্তু সেই রেকের বরাত দেওয়ার পরে মাত্র ১টি রেকই এসে পৌঁছেছে কলকাতার মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের হাতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১৩টি রেক আসার কথা। চিনের ডালিয়ান কোম্পানি মেট্রোর এই নতুন এসি রেকগুলি সরবরাহ করার দায়িত্ব পেয়েছে।
কিন্তু এখন লাদাখে ভারত-চিন যে বিবাদ লেগেছে তার জেরে কার্যত চূড়ান্ত অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে বাদ বাকি রেকগুলির কলকাতা আগমনের সম্ভাবনা। ভারত-চিন যুদ্ধের আবহে যেখানে একের পর এক চুক্তি বাতিল হচ্ছে দুই দেশের, সেখানে মেট্রোর এই রেক আদৌ কলকাতায় এসে পৌঁছবে কিনা, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ঘোর সংশয়।
কলকাতা মেট্রোয় বর্তমানে যে ২৭টি রেক ব্যবহার হয়, তার ১৩টি নন এসি। চিন থেকে সবক’টি রেক চলে এলে যাত্রী পরিবহণের চিত্রটা অনেকটাই বদলে যেত শহরের লাইফলাইনের। কিন্তু আপাতত সেই আশা বিশ বাঁও জলে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ সবকটি প্রকল্পের জন্য ৪০টি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রেক অর্ডার করেছে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থার কাছ থেকে। এর মধ্যে ১৬টি আইসিএফ-এর।
১৪টি চিনা সংস্থা ‘সিএনআর ডালিয়ান লোকোমোটিভ অ্যান্ড রোলিং স্টক কোম্পানি’র। বাকিগুলিও অন্য চিনা সংস্থা ‘সিআরআরসি ঝুঝৌ লোকোমোটিভ কোম্পানি’র। চিনা সংস্থা ‘ডালিয়ান’-এর তরফে রেক ডেলিভারি করা শুরু হয়েছে।
এই বছরের মধ্যে গোটা আটেক চলে আসার কথা। কিন্তু বর্তমানে ভারত-চিন যুদ্ধের আবহে সেগুলি আদৌ কবে আসবে, তা নিয়ে চিন্তায় কর্তৃপক্ষ।