লাগাতার জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি মোদি সরকারকে নিশানা অভিষেকের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  একদিনে আমফান, অন্যদিকে করোনা এই উভয় সংকটের মধ্যেও গত ১৭ দিনে লাগাতার বেড়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।আর তাতে পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুদ্ধ মানুষেরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে।

মঙ্গলবার রথযাত্রার দিন এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রকে একহাত নিলেন  তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর অভিযোগ, করোনায় সংক্রমণের জেরে মানুষ যখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, সেই সময় তেলের কম দাম দেওয়ার সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার।

এদিন  ট্যুইট বার্তায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লিখেছেন,করোনার সময় মানুষ প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অপরিশোধিত তেলের নিম্ন দামের ওপর রেকর্ড শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন। আর, এর দাম যখন বাড়ছে বোঝা চাপছে সাধারণ মানুষের ওপর।

ইসকন মন্দিরেই পালন হল রথযাত্রার, পূজার সামগ্রী পাঠালেন মমতা

তাঁর এই দাবির সমর্থনে অভিষেক যে তথ্য পেশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে গত ১২ মার্চ কলকাতায় পেট্রোলের দাম ছিল ৭২ টাকা ৮৩ পয়সা।

২২ জুন তা বেড়ে হয়েছে ৮১ টাকা ২৭ পয়সা। অর্থাৎ মূল্যবৃদ্ধির হার ১১.৫৯ শতাংশ। এই দুই তারিখে কেন্দ্রীয় শুল্ক বেড়েছে ১৯ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ৬৫.০৭ শতাংশ।

এই সময়সীমায় ডিজেলের দাম বেড়েছে ৬৫ টাকা ২২ পয়সা। ৭৪ টাকা ১৪ পয়সা। বৃদ্ধির হার ১৩.৬৮ শতাংশ। এই দুই তারিখে ডিজেলের ওপর কেন্দ্রীয় শুল্ক বেড়েছে ১৫ টাকা ৮৩ পয়সা থেকে ৩১ টাকা ৮৩ পয়সা। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ১০১.০৭ শতাংশ।

আমফান পরবর্তী সময় থেকেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার আক্রমন চালিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রথযাত্রার দিনও তিনি ছাড়লেন না দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়াতে আক্রমণ করতে। অবশ্য সেই আক্রমণের যথাযথ কারণও আছে।

দেশ জুড়ে লাগাতার বেড়ে চলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। আর সেই দাম বাড়ার পিছনে একটা বড় ভূমিকা পালন করছে তেলের দামের সঙ্গেই নেওয়া কেন্দ্রীয় কর যা রাতারাতি দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর তা নিয়েই এদিন প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন অভিষেক।

সম্পর্কিত পোস্ট