দুর্নীতির সঙ্গে আপোস নয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থার নির্দেশ তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবেডস্কঃ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপােস নয়, তা তিনি হােন যত বড়ই রাঘব বােয়াল। মানুষের পাশে না থেকে যারা স্বজন পােষণে ব্যস্ত, তাদের পাশে নেই তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার দলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গে ভিডিয়াে কনফারেন্সে স্পষ্টভাবে একথা জানাল তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিন দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য ছিল যতটাই কড়া, ততটাই স্পষ্ট। গত কয়েকদিন আমফানের ত্রান বন্টনে যেভাবে একের পর এক জায়গায় দলের নেতাদের নাম জড়িয়েছে,তাতে ক্ষুব্ধ দলনেত্রী স্বয়ং।
দলের নেতা-কর্মীদের তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গােয়াল ভালাে। মানুষের জন্য কাজ করতেই তৃণমূলের সৃষ্টি। মানুষের পাপ্য নিয়ে দুর্নীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়।
উল্লেখ্য, এদিন এই ভিডিয়াে কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে জেলা সভাপতিদের হাতে অভিযুক্তদের একটি তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
কোভিড-১৯ এর পরীক্ষামূলক ওষুধ রেমডিসিভির তৈরির অনুমতি পেল হেটেরো
দলের তরফে এও বলা হয়েছে, অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এক্ষেত্রে প্রথমে শােকজ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই জবাব দিতে হবে অভিযুক্ত নেতাদের। উত্তর সন্তোষজনক না হলে দল থেকে বহিঃস্কারের নির্দেশ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে জেলা স্তরের শীর্ষ নেতা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অভিযােগ এলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপাের্ট শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে
পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ব্যবস্থা নেবে। মােদ্দা কথা দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস করবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
বুধবারের বৈঠকে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযােগ করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তাঁর বার্তা ছিল স্পষ্ট। মানুষের কাজে রাজনীতির রঙ দেখতে চান না তিনি।
এরপরই দলের তরফে প্রত্যেক জেলা সভাপতিদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, প্রশাসনিক কাজ বা পরিষেবা প্রদানে দল যুক্ত থাকবে না। জেলাশাসক বা বিডিওর কাজে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না দল।
যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযােগ উঠবে, জেলাসভাপতি তাদের তৎক্ষণাৎ শােকজ করবেন। শােকজের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের জবাব দিতে হবে। উত্তর সন্তোষজনক না হলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।