Exclusive: আনলক ওয়ানে ঐতিহ্যের ট্রামে প্রতিদিনই বাড়ছে লোকসানের বহর

সর্নিকা দত্ত

ঐতিহ্যের ট্রামে এবার অস্তিত্বের সংকট। বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত যাত্রী না হওয়ায় প্রত্যেকদিন বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত ট্রাম চালিয়ে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের।

আনলক ওয়ানে ট্রামের চাকা ঘুরতে শুরু করেছিল। এই মুহূর্তে শুধুমাত্র বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্তই ট্রাম চলছে কলকাতায়। কিন্তু পরিবহন দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত যাত্রী না মেলায় প্রতিদিন এই রুটে ট্রেন চালিয়ে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে রাজ্য সরকারের।

ফলে এই অবস্থায় আদেও ট্রাম চালানো হবে কিনা তা নিয়েই ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত রোজদিন এই রুটে ছটি চলছে।

ইলেকট্রিসিটি খরচ, মেইনটেনেন্স, কর্মীদের সেলারি ও ডিপো মেনটেনেন্স মিলে প্রতিদিন খরচ এক লক্ষ দশ হাজার টাকার মতো। কিন্তু এই সময় টিকিট বিক্রি করে নিয়মিত ১০০০ টাকা আয় হচ্ছে না।

দপ্তরের এক কর্তার কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র টিকিট বিক্রি করে মোটামুটি তিন লাখ টাকা মত আয় হচ্ছে।কিন্তু কর্মীদের বেতন দিতেই মাসে ১১ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। এটাই বড় সংকটের কারণ।

অর্জুনের লক্ষ্য-ভেদঃ যুবশক্তি কর্মসূচীতে যুব সমাজের সাড়ায় আপ্লুত অভিষেক

তার দেওয়া হিসাব মত, এই রুটে ট্রাম চালাতে, প্রতিদিন প্রায় ৭০ জনের মতো কর্মী দরকার। এরমধ্যে ১২ জন ড্রাইভার, ২৪ জন কন্ডাক্টর, ১২ জন ডিপো কর্মী, আর ১০ জন মত ট্রাক মেনটেনেন্স ও সার্ভে এবং অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী রয়েছে।

পরিবহন দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, মানুষের পরিবহনের অসুবিধার কথা চিন্তা করেই আনলক প্রসেসের মধ্যে আমরা ট্রাম চালানোর অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সাধারণ মানুষ ট্রামের থেকে অন্য পরিবহনেই বেশি ভরসা রাখছে।

আর যাত্রী না মেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে ক্ষতির বহর। সমস্যা হল বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ রুটে অন্যান্য পরিবহনের পর্যাপ্ত সংস্থান রয়েছে।

সাধারণত বাসে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে মানুষের দশ টাকা খরচ হলেও ট্রামে লাগে মাত্র ৭ টাকা। তাও মানুষ ট্রামে উঠতে চাইছে না কারণ অবশ্যই সময়।

বাসে বা অন্য পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ পৌঁছানো গেলেও সময় লাগে ৪৫ মিনিটের মত। মানুষ এই সামান্য দূরত্ব অতিক্রম করতে এতটা সময় খরচ করতে চাইছে না। আর এটাই পর্যাপ্ত যাত্রীর না হওয়ার কারণ হিসেবে মনে করছে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট