চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগণা, একদিনে রেকর্ড হারে বৃদ্ধি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আজ রেকর্ড সংখ্যক করোনা পজেটিভের সন্ধান পাওয়া গেছে। আজ একদিনে ১৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে জেলায় মোট ৩০৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৭৭৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বারাসাত পৌরসভার প্রাক্তন পুর-প্রধান সুনীল মুখার্জী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই বারাসাত পৌরসভা সংলগ্ন এলাকা জুড়ে তৈরী হয়েছে আতঙ্ক।
তা সত্ত্বেও সচেতন নয় মানুষ। আনলকের ২য় পর্যায়ে এসেও নাগরিক সচেতনতার অভাব প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে প্রশাসনকেও।
প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেরোতে হচ্ছে অনেককেই। তবে বেশীরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। যেখানে বারবার বলা হচ্ছে সোশ্যাল ডিস্টেন্স, মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার কোভিড মোকাবিলায় বাধ্যতামূলক।
এবার কোমর বেঁধে নাগরিক সুরক্ষা সচেতনতায় নামল পুলিশ। কলোনী মোড় সহ বারাসাতের প্রাণকেন্দ্রে বারাসাত থানার পুলিশ ও ৱ্যাফ সচেতনতার অঙ্গ হিসেবে করোনা প্রতিরোধক পদক্ষেপগুলির উপর কড়া নজরদারি শুরু করেছে।
এবার চালু হচ্ছে রাজাবাজার থেকে হাওড়া ট্রাম পরিষেবা
রাস্তায় যাতায়াত করছেন যারা, তারা মাস্ক পরছেন কিনা দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
মাস্ক না থাকলে কার্যত গান্ধীগিরির আদলে মাস্ক পরিয়ে পুলিশ মানুষকে সচেতন করছে।
খোদ বারাসাত থানার আই সি দীপঙ্কর ভট্টাচাৰ্যের নেতৃত্বে পুলিশ মাস্ক না থাকা বিভিন্ন যানবাহনে থাকা ড্রাইভার, আরোহী সহ পদাতিক মানুষজনকে মাস্ক পরতে বাধ্য করেন।
সাধারণ মানুষ পুলিশের এই পদক্ষেপে খুশী। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় সচেতনতা মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আসা উচিত। কিন্তু নাগরিকরা পাশাপাশি প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের সার্বিক নজরদারির গলদ নিয়ে।
সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না জানিয়ে তাঁদের প্রশ্ন হঠাৎ করে একদিনের জন্য পুলিশি তৎপরতা নাগরিক সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করে কি?
বারাসাত পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিক সুনীল মুখার্জী যেখানে আক্রান্ত সেখানে প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় বলে নাগরিক অভিমত।
নাগরিকদের আরো অভিমত, নিজেদেরকে সবাই স্বতঃস্ফুর্তভাবে সচেতন না করলে বিপদ বাড়তেই থাকবে।