নির্বাচনের নয়া নিয়মের প্রতিবাদে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  ৬৫ বছরের উর্দ্ধের নাগরিকরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।

সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।

করোনাকে সামনে রেখে যেভাবে নির্বাচন বিধিতে পরিবর্তন আনা হল, তার তীব্র নিন্দা করে সুব্রত বক্সি বলেন, এই সিদ্ধান্ত অসংবিধানিক।

তৃণমূল মনে করছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হবে। একইসঙ্গে তিনি এই চিঠিতে এও লিখেছেন এই সিদ্দান্ত কার্যকর হলে নয়া নিয়মের খরচা বাড়বে। একইসঙ্গে ভোটারদের স্বাধীনতাও খর্ব হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

চিঠিতে অবিলম্বে এই নতুন নিয়ম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরও বলা হয়েছে, দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছরের উপরে।

এদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে সুব্রত বক্সি সরাসরি জানতে চেয়েছেন এই ধরণের একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হল না।

সৌজন্যেঃ আমফান ক্ষতিপূরণ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ঝাঁটা তৃণমূল সমর্থকদের

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি মনে করছেন, যেভাবে একতরফাভাবে কমিশনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অস্বচ্ছ ও অসংবিধানিক।

এদিন এই চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রসের তরফ থেকে কমিশনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে।

এদিন তিনি এও বলেন, আমাদের দেশের ১৩ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা রয়েছেন যাঁদের বয়স ৬৫ বছরের উর্দ্ধে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বয়সও ৬৫ বছরের উর্দ্ধে।সেক্ষেত্রে তাঁরা ভোটপ্রচারে অংশ নেবেন, কিন্তু সংশোধনী অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। এটা খুবই হাস্যকর। ফলে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলিকে আলোচনায় ডাকা হলে ভালো হতো।

প্রসঙ্গত, ২ জুলাই নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নির্বাচনী বিধিতে সংশোধনী আনার কথা জানান। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, এবার থেকে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট