গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই পুলিশি এনকাউন্টারে খতম বিকাশ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে এনকাউন্টারে খতম কানপুর পুলিশ হত্যা মামলার মাস্টার মাইন্ড বিকাশ দুবে। বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নী মহাকাল মন্দির থেকে গ্রেফতার হয় বিকাশ দুবে। ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতে এনকাউন্টারে মৃত্যু হল বিকাশের।

সুত্রের খবর, শুক্রবার সকালে বিকাশকে নিয়ে যাওয়ার পথে এসটিএফের গাড়ি উল্টে যায়। এরপর সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ। তখনই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার।

বৃহস্পতিবার যখন মধ্যপ্রদেশ থেকে বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়, ঠিক তখনই বিকাশের দুই সঙ্গীকে এনকাউন্টারে খতম করে পুলিশ।

খুন, খুনের চেষ্টা অপহরণ সহ ৬০ টি মামলা ঝুলছিল বিকাশের মাথার ওপর। পুলিশের তরফে তার মাথার দাম দেওয়া হয় ৫ লক্ষ টাকা।

সুত্রের খবর, শুক্রবার কানপুর আদালতে বিকাশকে পেশ করার কথা ছিল। তাই মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশে তাকে আনছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কিন্তু গাড়ি উল্টে গেলে পালানোর চেষ্টা করে সে। রেহাই পায়নি। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার।

গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরের অদুরে বিকারুতে ৮ পুলিশ অফিসারকে হত্যার পর থেকেই ফেরার ছিল বিকাশ । সেইসঙ্গে পুলিশের তালিকায় নাম জড়ায় বিকাশের আরও ১৫ জন সঙ্গীর।

পুলিশ সুত্রের খবর, সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গাড়ি উল্টে গেলে আহত হন বেশ কিছু পুলিশ অফিসার। সেই সময়ই পালানো চেষ্টা করে বিকাশ। বন্দুক উচিয়ে পুলিশকে মারার চেষ্টা করে সে। কিন্তু তাকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। অবশেষে নিজেদের রক্ষা করতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার।

গত শুক্রবার কানপুরের বিকারু গ্রামের ছয় জন পুলিশকে হত্যার পর থেকেই ফেরার ছিল বিকাশ। গত ৫ দিন ধরে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছিল উত্তরপ্রদেশ এবং তার আশেপাশের রাজ্যের পুলিশ। প্রাথমিক স্তরে পুলিশের তরফে জানানো হচ্ছিল নেপালে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বিকাশ।

তাই বিহার সীমান্তে আরও জোড়ালো নজরদারি রাখা হয়। পরে জানা যায় কানপুর থেকে হরিয়ানা এবং রাজস্থানের কোটা হয়ে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীতে প্রবেশ করেছে সে।

এখন স্বাভাবিক স্তরেই প্রশ্ন উঠেছিল যখন কোভিড-১৯ এর কারণে যখন সমস্ত রাজ্যের সীমানায় কড়া নজরদারি রয়েছে, তাহলে কিভাবে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে প্রবেশ করতে পারল বিকাশ?

কানপুর আইজি মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন এদিনের ঘটনায় চার পুলিশ অফিসার ঘায়েল হয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট