কাটল জট, আগামীকাল থেকে খুলছে ঠাকুরনগর ফুল বাজার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ঠাকুরনগর ফুল বাজার আবার পুরোদমে বসতে চলেছে। শনিবার ফুল বাজার ব্যবসায়ীরা বাজার খোলার ব্যাপারে আন্দোলন করেছিলেন।
রবিবার ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মত বিনিময়ের পর ফুলবাজার খোলার ব্যাপারে সম্মতি জানানো হয়।
আবারও রবিবার প্রায় দেড় হাজার ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সকলে মিলে মিছিল সহকারে পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ধ্যানেশ গুহ-র সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য ঠাকুরনগর রেল স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় অবস্থান করেন।
এরপর বৃহত্তর ঠাকুরনগর ফুল বাজার সমিতি সাত সদস্য আলোচনার জন্য যান। আলোচনা শেষে সমিতির সম্পাদক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, আগামীকাল থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক পরিধান করে বাজার খোলার আশ্বাস দেন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ।
করোনা পরীক্ষায় এবার সুইডেন থেকে আসছে বিশেষ যন্ত্র
ঠাকুরনগর এবং তার আশেপাশের বৃহত্তর অঞ্চলের বাসিন্দারা মূলত এই ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে প্রায় চার মাসের উপর তাদের রুটি-রুজির টান পড়ছিল। অনেকেই চরম দারিদ্র্যতার মধ্যে দিনযাপন করছিলেন।
এমনও দিন গেছে তাঁরা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই শনিবার তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ শুরু হয় শনিবার বিকেল থেকেই। রবিবার তাই গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস এবং স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের মধ্যস্থতায় বাজার খোলার ব্যাপারে একটা সুস্থ ও সমব্যথী অবস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
তাঁরাও চাষী ও তাঁদের পরিবারের দুর্দশা কথা জানেন এবং বাজার খোলার ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার ব্যবস্থা করেন।
এদিনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ফুল বাজারের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবারেরা স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাবার আনন্দে ধন্যবাদ জানান সকলকে।
কৃতজ্ঞতা জানান সংবাদমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকাকেও। রবিবার দুপুরে বৃহত্তর ঠাকুরনগর ফুল বাজার সমিতির সভাপতি ফণীন্দ্রনাথ মন্ডল, সম্পাদক শিশির বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ গৌতম মন্ডল, আহ্বায়ক প্রশান্ত দাস ঠাকুর, ফুল বাজার মালিক সমিতির সম্পাদক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস সহ সকল সদস্যদের ঐকান্তিক আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে ফুল বাজারের ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখলেন একথা বলাই বাহুল্য।