শচীন পাইলট বনাম অশোক গেহলোট, সোমবারের বৈঠকই বাতলে দেবে রাজস্থানের ভবিষ্যৎ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজস্থানে এই মুহুর্তে চলছে শক্তি প্রদর্শনের লড়াই। লড়াই শচীন পাইলট বনাম অশোক গেহলোট। যা অনেকটা স্থির করে দেবে রাজস্থানের ভবিষ্যৎ।
কারণ শচীন পাইলটের সঙ্গে যে ৩০ জন বিধায়ক রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে অশোক গেহলটের সরকার ভেঙে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। যদিও বিজেপি যোগের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
রবিবার ভোর রাতে কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজস্থানের কংগ্রেসের ইনচার্জ অবিনাশ পান্ডে। সকল বিধায়কদের ওপর হুইপ জারি করে সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়। যারা উপস্থিত থাকবেন না তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
কিন্তু এই মুহুর্তে খানিকটা জটিলতা শুরু হয়েছে। জটিলতা দেখা দিয়েছে শচীন পাইলট এবং তার অনুগামী ৩০ জন বিধায়ক যারা এই মুহুর্তে দিল্লিতে রয়েছেন তাদের নিয়ে। তারা কি সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত হবেন?
কংগ্রেসের সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার জন্যই এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন পাইলট। বিজেপিতে যোগদান করে নয়, বরং বিজেপির ৭৭ টি আসনের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চান শচীন। দাবী কংগ্রেসের।
করোনা ও আমফানে বিপর্যস্ত বাংলা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ক্লাব
পাশাপশি কংগ্রেসের তরফে এও জানানো হয় এই মুহুর্তে শচীন পাইলটের সঙ্গে ৩০ জন নয়, ১৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। আর ক্ষমতায় আসতে গেলে দরকার ১০১ টি আসনের।
কিন্তু এই মুহুর্তে কংগ্রেসের হাতে ১০৯ জন বিধায়ক রয়েছে বলে দাবী করছেন তারা। যদিও বিজেপি সূত্রের খবর, এই মুহুর্তে শচীনের যোগদানের কোনও খবর নেই।
রাজস্থানের গত কয়েক ঘন্টার টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনার মধ্যে মধ্যপ্রদেশের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তিন মাস আগে ঠিক একইভাবে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের কংগ্রেস সরকারকে ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় আসে শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার।
তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। ঠিক একইভাবে শচীন পাইলটের দিল্লিতে অবস্থান বাড়িতে তুলছে তার বিজেপি যোগের সম্ভাবনা।