হেমতাবাদের বিধায়কের মৃত্যুর পর ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৩ মে। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪২ এ ৪২ এর স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছিল।

তারপর দলবদলের হিড়িক শুরু হয়েছিল। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগদান যেমন অব্যাহত ছিল, তেমনি অব্যাহত ছিল লালদুর্গ ছেড়ে গেরুয়া ঝান্ডা হাতে তুলে নেওয়ার ধারাও।

২০১৯ সালের ২৮ মে। দিনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির সদর দফতরে সেদিন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য, হেমতাবাদের বাম বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় এবং মুকুল পুত্র শুভ্রাংশ রায় সহ অনেকেই নিজ নিজ দলত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন। সেদিন ঝাঁ চকচকে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃ্ত্ব।

চওড়া হাসিতে দলত্যাগ করে আসা বিধায়কদের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দিয়েছিলেন তাঁরা। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও চাওয়া-পাওয়ার বেড়াজালে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি।

বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য এলাকায়

বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেরদিনই তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেয় রাজ্য সরকার।

তারপর থেকে বারংবার তিনি নিরাপত্তা চেয়ে ফোনের পর ফোন করে গিয়েছেন মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং দিলীপ ঘোষকে। চিঠি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। তা সত্ত্বেও কোনো সুরাহা হয়নি। এখনো পর্যন্ত নিরাপত্তা পাননি তিনি।

অন্যদিকে, একই অবস্থা ছিল হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত নিরাপত্তা ছিল না তাঁর।

এখানেই উঠছেই প্রশ্ন। যেখানে শুভ্রাংশু রায়, সুনীল সিং, বিশ্বজিৎ দাস, দুলাল বর নিরাপত্তা পেয়ে গেছেন, সেখানে তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও দেবেন্দ্রনাথ রায় পেলেন না কেন?

বিজেপির অভিযোগ আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে। প্রশ্ন উঠছে এখানেও যদি দেবেন্দ্রনাথ রায়ের নিরাপত্তা থাকত তাহলে কী তিনি ‘খুন’ হতে পারতেন?

দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর পর উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন।

যেমনঃ কেন তিনি রাত ১ টার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কেন? রাজনীতিতে কাদা ছোঁড়াছুড়ি পুরোনো প্রথা। তিনি যদি জানতেনই তৃণমূলের টার্গেট ছিলেন তাহলে দলে জানান নি কেন?

দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর পর শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি চেয়ে পথে নেমেছেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসু, সব্যসাচী দত্ত সহ বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা।

হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

তখনই নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, নিরাপত্ত না থাকায় করোনা ও আমফান পরিস্থিতিতে তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় কোনো কাজ করতে পারেননি। তাঁর কথায়, এসডিপিও তাঁকে নিষেধ করেছেন এলাকায় বেরোতে। তারপরেও বিজেপি কী করে শাসকদলের দিকে আঙুল তুলছে, উঠছে সেই প্রশ্নও।

আমরা কথা বলেছিলাম বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্যের সঙ্গে। নিরাপত্তার অভাবে অসহায়তার কথা তুলে ধরলেন তিনি।

কী বলছেন তিনি শুনুন

সম্পর্কিত পোস্ট