রাজস্থানে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত শচীন পাইলট

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: রাজস্থানে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত শচীন পাইলট।

দলবিরোধী কার্যকলাপ এবং সরকার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে রাজস্থান কংগ্রেসের প্রতিবাদী নেতা সচীন পাইলটকে সরিয়ে দিল কংগ্রেস।

একইসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল তাকে।

পাশপাশি দুই মন্ত্রী তথা পাইলটের দুই বিশ্বস্ত সঙ্গি রমেশ মিনা এবং বিশ্বেন্দ্র সিংহকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজস্থান কংগ্রেস।

রবিবার প্রেস কনফারেন্সের পর মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের বাসভবনে বৈঠক ডাকা হয় কংগ্রেসের তরফে।

রাত আড়াইটে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে রাজস্থান কংগ্রেসের ইনচার্জ অবিনাশ পান্ডে।

সরকার পক্ষের সমস্ত বিধায়কের ওপর হুইপ জারি করে কংগ্রেস নেতা জানিয়ে দেন এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে দল তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।

সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না কংগ্রেসের বাগী নেতা শচীন পাইলট।

গেহলোট ঘনিষ্ঠদের তরফে জানানো হয় এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১০৭ জন সরকার পক্ষের বিধায়ক।

শুরু থেকেই শচীন দাবী করে আসছিলেন তার সঙ্গে ৩০ জন বিধায়ক রয়েছেন।

কিন্তু মঙ্গলবার সকালে এক ভিডিওতে দেখা যায় শচীনের সঙ্গে আরও ১৫ জন সঙ্গি রয়েছেন।

এতে কার্যত এডভান্টেজ পান মুখ্যমন্ত্রী গেহলোট। মঙ্গলবার ফের বৈঠক ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেন তিনি।

মঙ্গলবার কেবিনেট বৈঠকের পর কংগ্রেসের তরফে জানানো হয় বিজেপির প্ররোচনায় পা দিয়ে সরকার ভাঙতে চাইছে শচীন।

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পর তারও ইচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা।

রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের সসঙ্গে দেখা করতে রাজভবন গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলোট।

২০১৮ সালে ১০৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক নিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস।

মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের সরকার গঠনে সমর্থন জানান ১৩ টি নিরপেক্ষ এবং ৫ টি ছোট দলের বিধায়করা।

কিন্তু মঙ্গলবার ফেয়ারমন্ট হোটেলে শচীন পাইলটকে সরানোর জন্য ১০২ জন বিধায়কের সমর্থন পান মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন বৈঠকে সমর্থন তুলে নেন ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টির দুজন বিধায়ক।

ওই দলের বিধায়ক রাজকুমার রোট একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানান পুলিশ তাকে বের হতে দিচ্ছে না।

এই মুহুর্তে অশোক গেহলোটের সরকারের কাছে ১০২ জন বিধায়কের সমর্থন থাকলেও চিল নজর রেখেছে বিজেপি।

বিধানসভায় আস্থা ভোটের জন্য আবেদন জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।

এই মুহুর্তে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ৭৩ টি আসন। তবে সরকার গঠন করতে এখনও তাদের প্রয়োজন ৩৫ টি আসনের।

শুধুমাত্র সংখ্যাতত্ব না মেলায় রাজস্থানের সরকার বদলিকরণ থেকে পিছু হটছে তারা?

প্রদেশ কংগ্রেস অফিস থেকে সরিয়ে নেওয়া হল শচীন পাইলটের নেমপ্লেট।

সত্যকে চাপা দেওয়া সম্ভব কিন্তু তাকে পরাজিত করা সম্ভব না। টুইটারে জানালেন সচীন।

ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়েছে দিল্লিতেও। রাজস্থান কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের পর তড়িঘড়ি দিল্লির ১০ জনপথের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। সেখানে কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট