শহীদ পরিবার ছাড়া প্রথম ২১ জুলাই পালন করবে তৃণমূল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  তিনি আন্দোলনের নেত্রী। বাংলার অগ্নিকন্যা। ১৯৯৩ সালের একুশে জুলাই ‘নো ভোটার কার্ড নো ভোট’ এই দাবিতে সামনে দাঁড়িয়ে মহাকরণ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

ওইদিনই পুলিশের গুলি কেড়ে নিয়েছিল তরতাজা ১৮ টি প্রাণ। ওই দিনটিকে তাই এযাবৎকাল শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন। এই শহীদ তর্পণে কখনোই এতটুকু কার্পণ্য করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই অন্যান্য বছরের মতো ধর্মতলা শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান এবার করা সম্ভব নয়। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে দিন যেখানে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান হয় সেখানেই শহীদ বেদী তৈরি করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে তাঁদের।

এখনো পর্যন্ত যা খবর, তাতে সেখানে উপস্থিত থাকবেন না শহীদ পরিবারের কোনো সদস্যই। তবে শহীদ পরিবার গুলি যে জেলায় রয়েছে সেখানেই জেলা তৃণমূলের তরফ থেকে সম্মান জানানো হবে।

আসলে তৃণমূল সুপ্রিমো চাইছেন কোভিড-১৯ এর কারণে কোনভাবেই যেন সংক্রমনের বাড়াবাড়ি না হয়। তাই কলকাতায় শহীদ পরিবারকে ছাড়াই এবারের 21 জুলাই পালনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল।

এদিকে মাঝে আর মাত্র ৭ দিন। অথচ এবার একুশে জুলাই নিয়ে তৃণমূলের তৎপরতা সেভাবে দেখা যাচ্ছেনা। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, করোনা আবহে রাজনীতি নয়, মানুষের পাশে থাকতে বেশি আগ্রহী তিনি।

আর সে কারণে এবার শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান ব্লকে ব্লকে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রাজ্য তৃণমূল এর তরফ থেকে মূল অনুষ্ঠান যেটি হবে সেখানে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক এবং ইউটিউব এর মাধ্যমেই সেখান থেকে একুশের বার্তা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে পৌঁছে দেবেন তিনি।

তৃণমূল সূত্রে খবর, এই প্রোগ্রামের সঙ্গে দলের একটা নিজস্ব আবেগ রয়েছে। তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করে একে বিজেপির মত ভার্চুয়াল কনফারেন্সের চেহারা দিতে চান না তৃণমূল নেত্রী। এক্ষেত্রে তাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই তিনি সকলকে বার্তা দেবেন।

দলের তরফ থেকে এখনো সেই প্রোগ্রাম কোথায় হবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তৃণমূলের একটি সূত্র থেকে যদিও জানা যাচ্ছে, একুশে মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের অনুষ্ঠানটি কালীঘাট মিলন সংঘের মাঠেই এই হতে পারে।

তবে এক্ষেত্রে দলের চূড়ান্ত ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে আছে নিচুতলা কর্মীরা। একথা ঠিক যেখানেই এই অনুষ্ঠান হোক তাতে দলীয় কর্মীদের আসার অনুমতি থাকবে না। তবে কয়েকজন নেতা সামাজিক দূরত্বের মেনে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন।

সম্পর্কিত পোস্ট