উপাচার্যদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে চিঠি মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজভবনের সঙ্গে সরকারের সংঘাত যেন মিটেও মিটছে না।ইউজিসির পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা নিয়ে এই সংঘাত আরও একবার প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।
এমনকি তার জেরে রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিজে রাজভবনে গিয়ে দৌত্যের চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাতে কোনও কাজই হয়নি।
বৈঠকের পরেই রাজভবন থেকে অত্যন্ত অপমানজনক ভাষায় চিঠি যায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে। সঙ্গে কিছুটা হলেও হুমকি। আর তাতেই ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত সংস্থা। একে নিয়ন্ত্রণের প্রয়াশের তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি। উপাচার্যদের পাশে দাঁড়িয়ে এই নিয়ে তাই নিজেই চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে।
উল্লেখ্য, রাজভবন থেকে উপাচার্যদের কাছে চিঠি গিয়েছিল তাতে বলা হয় বৈঠকে যোগ না দিলে উপাচার্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মৃত কোভিড যোদ্ধাদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি ও ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবেঃ মুখ্যমন্ত্রী
অভিযোগ, যে ভাষায় সেই চিঠি লেখা হয় তাতে প্রছন্ন ভাবে হুমকির সুর যেমন ছিল ঠিক তেমনি ছিল অপমানজনক শব্দ ও ভাষার প্রয়োগ। তাতেই ক্ষুব্ধ হন উপাচার্যরা। এর ফলেই তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে যান।
এদিকে রাজ্যপালের চিঠির অংশবিশেষ গিয়ে পৌঁছায় নবান্নে। সরাসরি গিয়ে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। এরপরেই ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের উদ্দেশ্য চিঠি লেখেন।
শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের ট্যুইট পরিস্কার করে দিয়েছে যে তাঁর ডাকা বৈঠকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না।
তাই তিনি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্যরা যাতে তাঁর ডাকা বৈঠকে যোগ দেন তার জন্য রাজ্য সরকার যেন নির্দেশ জারি করতে। এদিন এতেও তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উপাচার্যরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বাধীন ভাবে কাজ করে। শিক্ষা দফতরের তত্ত্ববধানে গোটা পরিকাঠামো পরিচালিত হয়। উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীও গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন। তা সত্ত্বেও কেন উপচার্যদের প্রতি কটু শব্দ প্রয়োগ ও প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে চিঠি যাবে রাজভবন থেকে সেটাও তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকার এখন চাইছে রাজ্যপাল ইউজিসি ও কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে বৈঠক করে পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা স্থগিত করার চেষ্টা করুন।
রাজ্যপাল এখন চাইছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিজের হাতের মুঠোয় এনে বিষয়টি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা। আর রাজ্যপালের এই মনোভাব প্রকাশ্যে আসতেই লেগেছে সংঘাত।