লাদাখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বৈঠকের মাধ্যমে চলছে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা

দ্য কোয়ারি ডেস্ক:  চিন এবং ভারতের বিবাদ শুধুমাত্র বৈঠকের মাধ্যমে বা আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর চেষ্টা চলছে।

কিন্তু তা আদতে কতটা ফলপ্রসূ হবে তা এখনও বলা সম্ভব নয়। তবে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ভারতের এক ইঞ্চি জমি কেউ দখল করতে পারবে না।

যদি আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয় তবে তার চেয়ে ভালো জিনিস আর কিছু হবে না।

শুক্রবার লাদাখে উপস্থিত হয় সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে এমনটাই বক্তব্য রাখলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

শুক্রবার পুর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী দু’দিনের জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ সফরে উপস্থিত হয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

১৫ জুন গালওয়ানে রক্তক্ষরণের ঘটনায় যে ২০ জন সেনা শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করেন তিনি।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ১৪ নং পেট্রোলিং পয়েন্টে আমাদের সেনারা মারা গিয়েছেন। আপনাদের মধ্যে আমি আসতে পেরে খুশি তবে তাদের মৃত্যুতে আমি শোকাহত।

এদিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে লাদাখে উপস্থিত ছিলেন সেনা প্রধান এম এম নারাভানে।

সম্প্রতি চিন অধিকৃত চুসুল সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একাধিকবার সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে।

কিন্তু তাতেও প্রতিটি জায়গা থেকে সেনাবাহিনী সরাতে রাজি হয়নি দুপক্ষ। এরই মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লদাখ সফর চিনকে কড়া বার্তা দেবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

চলতি মাসের শুরুতেই লাদাখ সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। সেই সফর বাতিল করেন।

পরিবর্তে লাদাখে সারপ্রাইজ ভিজিটে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা চিনের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাড়ায়।

এদিন প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন লুকুন এবং স্তাকনা পোস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

ফিঙ্গার ফোর থেকে লুকুনের দুরত্ব প্রায় ৪৩ কিলোমিটার। সেখানে এখন ভারতীয় সেনা এবং আইটিবিপির যৌথ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

লাদাখ সফর সেরে জম্মু-কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তারা।

এই মুহুর্তে ফিঙ্গার চার থেকে আট অবধি সেনা এগিয়ে বসে রয়েছে চিন সেনা। সেখান থেকেই ক্রমশ সেনা সরানোর প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।

সেখানে এপিল মাসের আগে যে স্থিতাবস্থা ছিল তা বজায় রাখার কথা ভারতের তরফে জানানো হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি চিন।

বরং সেনা সরানোর কোনও প্রশ্ন ওঠে না। এমনটাই চিনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়।

৩০ শে জুনের পর গত মঙ্গলবার দুই সেনা কম্যান্ডারের বৈঠকের পরেও বরফ গলেনি।

চিনের এই মনোভাব দেখেও সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে রাজি নয় ভারত।

গোটা বিষয়টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তুলে ধরতে দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন নর্দান কম্যান্ডের প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওয়াই কে জোশী।

পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতকে জানাবেন তিনি।

এসবের মাঝে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর লাদাখ সফর চিনের জন্য কড়া বার্তা দেবে তা একেবারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

এখন লাদাখের বাতাসে সীমান্ত উত্তেজনার পারদ কমতে কতটা সময় নেয় তা এখন দেখার।

সম্পর্কিত পোস্ট