রাজস্থানের অস্থির রাজনীতিতে স্থগিতাদেশ, মঙ্গলবার অবধি বিরোধী বিধায়কদের বাতিল করা যাবে না
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: মঙ্গলবার অবধি বিদ্রোহী বিধায়কদের বাতিল করা যাবে না। রাজস্থানের অস্থির রাজনীতি নিতে আপাতত রায় দিল রাজস্থান হাইকোর্ট।
সরকার ভাঙার অভিযোগে ১৯ জিন বিদ্রোহী বিধায়ককে নোটিশ পাঠান রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশি।
তার পরিপ্রেক্ষিতে আইনি পদক্ষেপ নেন বিদ্রোহী বিধায়করা। এদিন কংগ্রেসের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি।
পাল্টা পাইলটের হয়ে সওয়াল জবাব করেন বিজেপি সরকারের দুই প্রথম সারির আইনজীবী হরিশ সালভে এবং এটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতোগী।
গতকালের ঘটনার পর আজ সকালের মধ্যে একটি অডিও ফাইল ভাইরাল হয়।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয় ওই অডিও ক্লিপিংসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শিখাওয়াত এবং দুই কংগ্রেস নেতা ভানওয়া লাল শর্মা এবং বিশ্বেন্দ্র সিংয়ের নাম জড়ায়। দুই বিধায়ককে দল থেকে বহিষ্কার করে কংগ্রেস।
এসওজিকে তদন্তের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়। পুলিশি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই বিধায়ককে পাকড়াও করতে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে রাজস্থান পুলিশের একটি দল। সূত্রের খবর, দিল্লির কাছে একটি রিসোর্টে রয়েছেন পাইলট ঘনিষ্ঠ ওই বিধায়করা।
অডিও ক্লিপিংসের অভিযোগ উঠে আসার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শিখাওয়াত জানান, যে কোনও রকম তদন্তের জন্য এই মুহুর্তে তিনি তৈরি।
নিউজ ১৮ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট জানিয়েছেন, শচীন পাইলটের সঙ্গে আমার বেশ কয়েকমাস ধরে কোনও কথা হয়নি। তবে আমি শচীন পাইলটের কখনোই বিরোধিতা করিনি এটা রাহুল গান্ধিও জানেন। এখনও অবধি শচীন দলে এলে তাকে আলিঙ্গনের সহিত স্বাগত জানাবো।
মুখ্যমন্ত্রী গেহলোটের এই নরম মনোভাবের পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
কারণ বিধায়কদের যদি তাদের পদ থেকে বহিষ্কার না করা হয় সেক্ষেত্রে বিপদ বাড়তে পারে গেহলোটের। আস্থা ভোটের মাধ্যমে সরকার টিকিয়ে রাখা তার পক্ষে কষ্টকর হবে।
সেক্ষেত্রে বাড়তি এডভান্টেজ পেতে পারেন শচীন পাইলট। তবে এর পর শচীন পাইলট কংগ্রেসে ফিরবেন কি না, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।