২১-র শপথে শামিল তৃণমূলের সৈনিকরাও – যেন এক দিশা – এক মন্ত্র

রাহুল গুপ্ত

কলকাতা পুরসভা , ১১৯ নম্বর ওয়ার্ড – অশোকা মন্ডল

এক সময় তিনি আজকের মুখ্যমন্ত্রীর ছায়া সঙ্গী। ১৯৯৩ এর সেই দিনে তিনি ছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই।

পুলিশের লাঠি , টিয়ার গ্যাসের সেল কিংবা পুলিশের গুলির ঘায়ে মৃত ১৩ – সব যেন আজ ২৭ বছর পরও চোখের সামনে ভেসে আসে – তিনি অশোকা মন্ডল , ১১৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি।

প্রতিবছর এই দিনটায় কতই না কথা মনে পরে যায় অশোকার। বলছিলেন সেই দিনের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।

কিভাবে পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থা করেছিলো , আঘাত করেছিল আমাদের বলছিলেন তিনি। চারদিকে চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত।

বদলেছে সময় – বদলেছে বাংলার রাজনীতি। কিন্তু সেই লড়াই সেই দিন জীবনের শেষ দিন অব্দি মনে রাখবেন অশোকা মন্ডল।

সকাল সকাল দলীয় কার্যালয়ের সামনে তুললেন শহীদ স্মরণে কালো পতাকা , তারপর দলীয় পতাকা।

কলকাতা পুরসভা , ৮১ নম্বর ওয়ার্ড – শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

সেদিনের রক্তাক্ত দিনের আরও এক লড়াকু সৈনিক ছিলেন যুব কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে , তিনি হলেন বর্তমান রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

এদিন কলকাতা পুরসভার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডে এলেন শহীদ স্মরণে , তুললেন দলীয় পতাকা – শ্রদ্ধাঞ্জলি দিলেন ১৩ জন শহীদকে। বললেন কিভাবে সেদিন পুলিশ তাদের আটকেছিলো , লাঠিচার্জ করেছিল।

টিয়ার গ্যাসের সেল এসে লাগে শোভনদেব বাবুর বুকে , তারপর দলীয় সমর্থকদের সাহায্যে তিনি সুস্থ হন।

জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পালিত হল ২১ জুলাই

আজ ২৭ বছর পর সেই দিনের কথা বলতে গিয়েও চোখ ছলছল করে উঠলো রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর।

কসবা বিধানসভা , বিধায়ক – মন্ত্রী – জাভেদ খান

কসবা বিধানসভার বিধায়ক ও মন্রী জাভেদ খান আয়োজন করেছিলেন খোদ তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনের সামনেই বড়ো স্ক্রিনে ভার্চুয়াল সভা দেখার সুযোগ। প্রথমে শহীদ স্মরণ, তারপর মাল্যদান করলেন মন্ত্রী।

২১ শে জুলাই বারবার ফিরে আসার লড়াই , বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না বলে সাফ জবাব আত্মপ্রত্যয়ী জাভেদ খানের।

এদিন শহীদ স্মরণে মাল্যদান করলেন তৃণমূল যুব নেতা ফায়েজ আহমেদ খান ও , থাকলেন অতনু প্রসাদ মিত্র প্রমুখ।

বাইপাসের ধারে তৃণমূল ভবনের সামনে এদিনের ভার্চুয়াল সভায় ছিল সমর্থকদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি। কিন্তু মন্ত্রী স্বয়ং দেখলেন যেন সবাই দূরেদূরে বসে একে অপরের থেকে , মাস্ক সবাইকে পড়তেই হবে বারবার সতর্ক করলেন মন্ত্রী জাভেদ খান।

যুব নেতা – ফায়েজ আহমেদ খান বললেন ” আমরা তৃণমূলের যুব সৈনিক – দিদির দেখানো পথেই আসবে আগামীর আলো।

এইভাবেই ২৭এর ” একুশে জুলাই ” শহর থেকে রাজ্য – পাড়া থেকে অলিগলি সর্বত্র শহীদ স্মরণ করা হলো। মুখে মাস্ক পরে দুরুত্ব বজায় রেখে এদিনের সভা গুলো করলো তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা।

সম্পর্কিত পোস্ট