করোনা ও বন্যায় বিধ্বস্ত বিহার, ঘরছাড়া ২৫ হাজারের অধিক
দ্য কোয়ারি ডেস্ক : করোনা থেকে কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন করে বন্যার সমস্যা ঘিরে ধরেছে বিহারকে।
রাজ্যের ১২ টি জেলার ৩৮ লক্ষের অধিক মানুষ লড়াই করছেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে। মৃত ১১ জন। প্রায় ২৫ হাজারের অধিক মানুষ ঘরছাড়া।
বন্যার দুর্গতদের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ এবং স্টেট ডিজাজস্টার রেসপন্স ফোর্সের ২৬ টি দল।
গন্ডকি এবং বাঘমতী নদীর জল মুজ্জাফরপুর জেলার একাধিক এলাকায় ঢুকে পড়েছে। সেইসঙ্গে টানা বৃষ্টির জলেও আশঙ্কা বেড়েছে।
আরো পড়ুন:রাজ্যের দুই কোভিড হাসপাতালের পরিস্থিতি দেখতে আসছে ICMR- র দল
৮,৭৭,১৩৮ জন মানুষ এই মুহুর্তে জলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। সুপল জেলার প্রায় ৮১ হাজার মানুষ করোনার পাশাপাশি বন্যার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
দুই জেলার লক্ষাধিক বাড়ি জলের তলায় রয়েছে। জীবনরক্ষার্থে উঁচু জায়গায় বাধ্য হয়েছে মানুষ। ক্রমাগত জলের গতিবেগ বাড়তে থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৪ থেকে ৫ দিন ধরে গ্রামের ভিতর জল ঢুকে রয়েছে।
প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। এভাবে চলতে থাকলে খাবার জোগাড় করাও দুষ্কর হয়ে দাঁড়াবে বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা।
বন্যার ইস্যুকে কেন্দ্র করেও সরকারপক্ষের দিকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা।
বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, বন্যা এবং করোনার সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করছে বিহার। কিন্তু সরকার পক্ষ এখনও ঘুমিয়ে রয়েছে।
প্রায় ১৩০ দিন পর মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে মানুষের কাছে যেতে দেখা যাচ্ছে। বন্যা এবং করোনার কারণে বিহারের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা ভরপাই করতে বেশ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন আরজেডি নেতা।