ঈদে বাড়ি ফেরার তাড়া, সরকারি বাসে দেদার চলছে টিকিটের কালো বাজারি

দ্য কোয়ারি ডেস্ক:  শনিবার ঈদ-উল -আজহার। তাই ঈদের এই দিনটি পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কাটানোর জন্য কলকাতা থেকে বাড়ির পথে রওনা দিচ্ছেন বহু মানুষ।

লকডাউনের কারণে সাধারণ ট্রেন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। তাই মুর্শিদাবাদ, আসানসোল, লালগোলা, মালদা, ফারাক্কা প্রভৃতি দূর প্রান্তে থাকা এখন বাড়ি ফেরার জন্য একমাত্র ভরসা হলো বাস।

বেসরকারি বাসের ভাড়া কমপক্ষে ৫০০ টাকা বা তারও বেশি। তাই সরকারি বাসে বাড়ি যাওয়ার চাহিটাই বেশি।

ফলে ভোর থেকেই লম্বা লাইন পড়ছে ধর্মতলার বাস টার্মিনাসে। আর এই সুযোগেই সরকারি বাস এর টিকিটেও চলছে কালোবাজারি।

১৬০ টাকার টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০ টাকায়। তাও আবার সেই টিকিটগুলো কাউন্টার থেকে নয় , বাসের স্টাফেরাই সেগুলি বিক্রি করছেন ।

এমনিতেই যাত্রীদের অনুপাতে বাস সংখ্যা কম এমনটাই অভিযোগ তুলছেন যাত্রীরা।

যাত্রীদের অভিযোগ , সাধারনত টিকিটে বাস নম্বর ও সেই সঙ্গে সিট নম্বর দেওয়া থাকে।

কিন্তু, ওই সমস্ত টিকিটে বাসের কোনো নম্বর দেওয়া থাকছে না। শুধু সিট নম্বর লিখে দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ঈদ উপলক্ষে কলকাতা থেকে কান্দির বাড়িতে ফিরছিলেন আহমেদ জলাউদ্দিন। তাঁর অভিযোগ, ভোর থেকে তিনি বাসের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

অথচ তার পরে এসেও ব্ল্যাকে টিকিট পেয়ে অনেকেই বাস পেয়েছেন। তাঁর অভিযোগ একেই ট্রেন বন্ধ। তার ওপর বাসও কম। এই অবস্থায় টিকিট না পেয়ে আরও হয়রানি হতে হচ্ছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ধর্মতলা টার্মিনাস এর অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের আশ্বস্ত করলে যাত্রীরা বিক্ষোভ থেকে সরে দাঁড়ান।

ধর্মতলা টার্মিনাস এর আধিকারিকরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। এ বিষয়ে তাঁরা দায় এড়িয়ে গিয়েছেন।

আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, এই টার্মিনাস থেকে বেসরকারি সংস্থার দায়িত্বে থাকা কিছু সরকারি বাস ছাড়ে। সেক্ষেত্রে যাত্রী সংখ্যার অনুপাতে তারা ভাড়া নির্ধারণ করে থাকে।

তবে যাত্রীদের বক্তব্য, সরকারি বাস বেসরকারি সংস্থার অধীনে আছে কি নেই। সেবিষয়ে তাঁদের কিছু জানা নেই। তবে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও টিকিট না পাওয়ার ফলে তাদের হয়রানী হতে হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট