করোনা সন্দেহে চূড়ান্ত অমানবিকতার শিকার বৃদ্ধ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা কালে শহরের নানা প্রান্তে প্রচার, নির্দেশিকা, সচেতনতামূলক কথা, কিছুই অনেক ক্ষেত্রে কাজে লাগছে না। যার ফল, করোনা আক্রান্ত অথবা করোনা সন্দেহভাজনদের উপর চলছে অমানবিক নির্যাতন।

এরকমই আরও একটি অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর এলাকা। করোনা সন্দেহভাজন হওয়ায় বছর ৭৫-এর স্নেহময় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধকে তাঁর বাড়িওয়ালা নিদান দিয়েছিলেন যে, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তিনি ঘরে ঠাঁই পাবেন। নচেৎ ঘরে ঠাঁই হবে না। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে তাঁকে। এমনকী রিপোর্ট পাওয়ার আগে বাড়ি ফিরতেও নিষেধ করা হয়েছিল বৃদ্ধকে।

প্রাথমিকভাবে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল, স্নেহময় বন্দ্যোপাধ্যায় নামের ওই বৃদ্ধের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে। নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি পোস্ট যা ফেসবুকে করা হয়েছিল। সেই পোস্ট করেছিলেন নিখোঁজ ব্যক্তির মেয়ে যিনি থাকেন গুরগাঁওয়ে। তাতে বলা হয়, সোমবার বিকালে ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাতে গিয়েছিলেন স্নেহময়বাবু।

করোনা আক্রান্ত শ্যামল চক্রবর্তীর খোঁজ নিলেন মমতা

তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এমনকি তাঁর মোবাইলের সুইচও অফ। এরপরেই বৃদ্ধের খোঁজ শুরু হয়। এরপর সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে রবীন্দ্র সরোবর থেকে ওই বৃদ্ধের খোঁজ মেলে।

এরপরেই ওই বৃদ্ধ পুলিশকে জানায় তার সঙ্গে হওয়া অমানবিক ঘটনার কথা। কিভাবে তার বাড়িওয়ালা তাকে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ি থেকে বের করে দেয়। যার কারনে সোমবার ঢাকুরিয়া আমরিতে করোনা পরীক্ষার পর রবীন্দ্র সরোবরে চলে যান তিনি। সেখানেই রাত কাটান।

তবে করোনা আতঙ্কে যেভাবে তাকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে সেই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট কিন্তু নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে গোটা ঘটনার কথা জানার পর পুলিশের তরফেই বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধকে। কথা বলা হয়েছে বাড়িওয়ালার সঙ্গেও।

সম্পর্কিত পোস্ট