কলকাতায় হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরালে বেডের ব্যবস্থাও করতে হবে হাসপাতালকেই
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোভিড আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে ভোগান্তি কমাতে কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন। কোভিড রোগীকে অন্যত্র রেফার করলে বেড বুক করে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকেই।
`স্বাস্থ্য ভবন মারফত অন্য হাসপাতালে সিট বুকিং ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কথা বলতে হবে। এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভা এলাকায় চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম।
কোভিড হাসপাতালে আক্রান্তকে ভর্তি করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন রোগীর পরিবার। কখনও কখনও প্রাণ হারানোরও অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। অপরদিকে রেফার করার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল রেফার করেই খালাস হচ্ছে।
এদিকে অন্য় হাসপাতালেও একই দৃশ্য উঠে আসছে। বেড পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কোভিড হাসপাতালের এহেন ব্য়বহারে জেরবার রোগীর পরিবারেরা।
এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই বৈঠকে বসেছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরসভার প্রশাসনিক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার, আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আক্রান্তকে রেফারের ক্ষেত্রে শয্যা বুক করে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকেই।
রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপনে ঠাকুরনগরের জল-মাটি ব্যবহার না করার অভিযোগ, বিজেপি তৃণমূল রাজনৈতিক চাপানউতোর
নবান্ন সূত্রে খবর, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্য ভবন খুব শীঘ্রই বেসরকারি নার্সিং হোম ও নন কোভিড হসপিটালগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবে। নন কোভিড রোগীদের কোভিড পজিটিভ হলে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম বা হাসপাতালকেই স্বাস্থ্য ভবন মারফত কোভিড হাসপাতালে সিট বুকিং ও অ্যাম্বুলেন্সের জন্য যোগাযোগ করতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দিষ্ট নম্বর ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২ এবং কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলরুমের ০৩৩-২২৮৬ ১২১২/১৩১৩/১৪১৪ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে । এরপরেই দেওয়া হবে ‘রেফারেল কোড’।
উল্লেখ্য, অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে প্রতারণা রুখতে কড়া হচ্ছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত করতে লাগানো হচ্ছে, জিপিএস সিস্টেম ।
এই বিষয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘কোনও হাসপাতালে ভর্তির পর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট যদি পজিটিভ আসে, সেক্ষেত্রে ওই হাসপাতালই রোগীকে সরকারি বা সরকার অনুমোদিত কোনও হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
আপাতত কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত এলাকায় এই নিয়ম চালু হয়েছে। এতে ভোগান্তি অনেকটাই কমবে।’