আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে কাউন্সেলিং, বাড়ি বসেই ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফলে এবার ৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থীই র‍্যাঙ্ক স্থান পেয়েছে। এবছর আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৮৮,৮০০ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিলেন ৭৩,১১৯ জন।

সব আবেদনকারীদের মধ্যে ৮৩ শতাংশই এবার পরীক্ষায় বসেছিলেন। এঁদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা রয়েছে ৫৫,‌১৫৪ জন আর ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে ১৭,১৪৪ জন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার প্রায় ছ’‌মাসের মধ্যে জয়েন্টের ফল প্রকাশিত হল।

এবারের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫১,২৩৫ জন (৭১ শতাংশ) এবং বাইরের রাজ্যের পরীক্ষার্থী ২১,০৬৩ জন (২৯ শতাংশ) রাঙ্ক পেয়েছেন।

এবারে জয়েন্ট পরীক্ষায় রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের ৩৬,৪৮৫ জন পড়ুয়া সফল হয়েছেন। এছাড়া সিবিএসই বোর্ডের ২২,২৭০ জন পড়ুয়া এবারে জয়েন্টের পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছেন।

সাফল্য অর্জন করেছেন আইএসই বোর্ডের ২,২২৬ জন এবং অন্যান্য বোর্ডের ১১,৩১৭ জন পড়ুয়া। সব মিলিয়ে সাফল্যের হার বেড়েছে।

শুক্রবার ভারচুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে বোরডের ভাইস চেয়ারম্যান টি কে মিত্র বলেন, শুক্রবার থেকে ২০২০ সালের রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের সামগ্রিক ফলাফল জানার পাশাপাশি রাঙ্ক কার্ডও ডাউনলোড করতে পারবেন।

কর্মসূচির উদ্বোধনে মমতাকে নিশানা নাড্ডার, অবাস্তব বক্তব্যে খঁড়কুটো আকড়ে বাঁচার প্রয়াস দেখছেন পার্থ

এবার অনলাইনে ফল প্রকাশের পর অনলাইনেই কাউন্সেলিং ও ভরতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল জানা যাবে www.wbjeeb.nic.in এবং www.wbjeeb.inওয়েবসাইটে। সম্ভবত ১২ আগস্ট থেকে শুরু হবে কাউন্সিলিং পর্ব।

পূর্বে একবারই রেজিস্ট্রেশন করা হত। পরবর্তীকালে অনেকে ইচ্ছা থাকলেও ভর্তি হতে পারতেন না। এবছর সেই সমস্যা হবে না। প্রত্যেক দফাতেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।

এদিন দশ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে বোর্ড। প্রথম হয়েছে ঝাড়ণ্ডের রামকৃষ্ণ দেওঘরের সৌরদ্বীপ দাস, দ্বিতীয় দূর্গাপুরের শুভম ঘোষ, তৃতীয় কলকাতার রুবি পার্কের শ্রীমন্তি দে, চতুর্থ হাওড়ার সাঁতরাগাছির উৎসব বসু, পঞ্চম দূর্গাপুরের পুর্নেন্দু সেন, ষষ্ঠ কলকাতার ভিআইপি রোডের অঙ্কুর ভৌমিক, সপ্তম সল্টলেকের সোহম সমাদ্দার, অষ্টম বেহালার অরিত্র দত্ত, নবম কাঁকুরগাছির গৈরিক মাসকারা, দশম শিবপুরের অর্ক দত্ত।

কাউন্সেলিং সম্পর্কিত বিশেষ জিজ্ঞাসা থাকলে টোল ফ্রি নম্বরে ১৮০০-১০২৩-৭৮১, ১৮০০-৩৪৫০-০৫০ ফোন করে জানতে পারেন পরীক্ষার্থীরা।

যারা র‍্যাঙ্ক করবেন তাদের রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না। বিভিন্ন জেলার ১৭ হাজার ২৮৮ টি কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে বিনামূল্যে সহজে রেজিস্ট্রেশন, ডকুমেন্টেশন করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা।

এ বছরের পুনর্গঠিত হয়েছে রাজ্যের কাউন্সিলিং পদ্ধতি। গত পাঁচ মাস ধরে এই কাউন্সেলিং পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। এবছর সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মেসি কলেজের সংখ্যা ১০ টা ২০৫৩ টি আসন।

বেসরকারি কলেজ ৮৬টি, আসন সংখ্যা ২৮৪৯৩ টি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১১টি, ২২৮৩ টি আসন রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯ টি, আসন রয়েছে ২০৬২ টি ।মোট আসন সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮৯১ টি।

কাউন্সেলিং এবং ভর্তি প্রক্রিয়া কীভাবে হবে এই বিষয়ে রাজ্য জয়েন্ট জানিয়েছে, কোথাও যেতে হবে না। কোনও কলেজে উপস্থিত হতে হবে না। বাড়ি থেকেই করা যাবে কাউন্সেলিং। আগামী সপ্তাহ থেকে কাউন্সিলিং পর্ব শুরু করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট