উত্তর প্রদেশ ও গুজরাটের টেস্টিং নিয়ে উদ্বিগ্ন মোদি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের শীর্ষে থাকা রাজ্যগুলির টেস্টের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই তালিকায় রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশের নাম রয়েছে।

উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে সংক্রমণ যে রাজ্যগুলিতে সবচেয়ে বেশি সেই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, পাঞ্জাব, বিহার, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ১০ রাজ্যে করোনাকে হারানো গেলেই জিতবে দেশ।

এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে মোট সংক্রামিতের ৮০ শতাংশই এই ১০ রাজ্যে। এই রাজ্যগুলি যদি কোভিডকে রুখতে পারে তাহলে এই মহামারীর বিরুদ্ধে ভারতের জয়ও সুনিশ্চিত হবে।

মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে তিনি ৭২ ঘণ্টার এক ফর্মুলা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার ফর্মুলা মেনে কাজ করলেই কোভিডকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর ৭২ ঘণ্টার ফর্মুলা আসলে কী সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও পজিটিভ ধরা পড়লে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে টেস্ট ও আইসোলেট করতে পারলেই ফল মিলবে। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানীরা এই মুহূর্তে এই ৭২ ঘণ্টার ফর্মুলাতেই জোর দেওয়ার কথা বলছেন।

অসম চুক্তির ষষ্ঠ অধ্যায়ের রিপোর্ট প্রকাশ করল আসু

টেস্ট এবং কনট্যাক্ট ট্রেসিং আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা না হলে কোভিডকে রোখা সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত করোনা পর্বের শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ট্রিপল টি’ ফর্মুলার কথা বলেছিল। তা হল, ‘টেস্ট, ট্রেসিং এবং ট্রিটমেন্ট।’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক মঙ্গলবার যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৬০১ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশের ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন।

দেশে ৪৫ হাজার ২৫৭ জনের প্রাণ কেড়েছে কোভিড। তবে দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও।

এপর্যন্ত মোট ১৫লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৮৯ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। ফলে সুস্থতার হার এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯.৭৯ শতাংশ।

তবে অনেকের মতে, আনলক পর্বে ৭২ ঘণ্টার ফর্মুলা বস্তবায়িত করা কার্যত অসম্ভব। কারণ, যিনি আজকে পজিটিভ হচ্ছেন, তিনি গত ৭২ ঘণ্টায় গণপরিবহণে কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তা খুঁজে বের করা মুশকিল।

মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যগুলি ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করছে কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে। একই ভাবে আমাদের এই লড়াই জারি রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে-সহ তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, গুজরাত, পাঞ্জাব, কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। এই বৈঠকে তারাও সে রাজ্যের করোনা মোকাবিলায়া নেওয়া পদক্ষেপগুলি বৈঠকে তুলে ধরেন।

সম্পর্কিত পোস্ট