একমাস পর বিরল ছবি, গেহলোটের বাসভবনে কংগ্রেসের পরিষদীয় বৈঠকে শচীন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একমাস ধরে ডামাডোলের পর আজ একমাস পর ফের গেহলোটের বাসভবনে কংগ্রেসের পরিষদীয় বৈঠকে দেখা গেল এক বিরল ছবি। একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আলিঙ্গনের সুরে এগিয়ে গেলেন একে অপরের কাছে।

অপারেশন লোটাসকে একা হাতে পরাস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট? এ প্রশ্নের উত্তর এখনও দেওয়া সম্ভব নয়।

তবে শচীন পাইলট দলে ফেরায় তিনি অনেকটা স্বস্তিতে এটুকু বলা সম্ভব। সেই জন্যই সমস্ত অভিমান ঝেড়ে ফেলে আলিঙ্গনের পথে হাঁটলেন তিনি। দলের হাইকম্যান্ডের সঙ্গে শচীনের বৈঠকের তিন দিন পর বৃহস্পতিবার মুখোমুখি পাইলট এবং গেহলোট।

তবে অপারেশন লোটাস ব্যর্থ হয়েছে তা পরিষ্কার। শুক্রবার রাজস্থানের বিধানসভা অধিবেশনের শুরু আগে দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভসুন্ধরা রাজে।

গতকাল বিধানসভা অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে গেরুয়া শিবির এবং তার সঙ্গিরা।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা গুলাব চন্দ্র কাটারিয়া।

রাজস্থানের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে শুরু থেকেই যে বিজেপিকে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট দোষারোপ করে আসছে বৃহস্পতিবার তাদের বৈঠক রাজনৈতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল।

করোনায় আক্রান্ত রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের প্রধান মোহন্ত নিত্য গোপাল দাস

তার ওপর সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত খানিকটা বুস্ট আপ করে দিল অশোক গেহলোটকে। যে ছয় জন বিএসপি বিধায়ক কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল আগামীকাল বিধানসভা অধিবেশনে কংগ্রেস সরকারকে তারা সমর্থন জানাতে পারবে।

সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়, যেহেতু হাইকোর্টে এই মামলা চলছে, তাই সুপ্রিম কোর্ট কোনওভাবেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

গত বছরের পুরসভা নির্বাচনের সময় সরকার গঠনে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয় বিএসপির ছয় বিধায়ক। গত একমাস ধরে চলা রাজস্থানের দড়ি টানাটানিতে গেহলোট সরকারের পক্ষে সম্মতি জানান ছয় বিধায়করা।

কিন্তু এতেই কার্যত ক্ষোভ বাড়তে থাকে বিএসপি প্রধান মায়াবতীর। কংগ্রেসের এহেন রাজনৈতিক পদক্ষেপে ক্ষুন্ন হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

এমনকি গেহলোট সরকার গঠনে ওই ছয় বিধায়ক যদি সমর্থন করেন সেক্ষেত্রে তাদের দল বহিষ্কার করা হবে। এমনও হুইপ জারি করা হয় বিএসপির তরফে।

এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট টুইটারে লেখেন ‘ক্ষমা করো এবং ভুলে যাও”। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধীর ছত্রছায়ায় সংবিধানকে রক্ষা করতে কংগ্রেসের লড়াই জারি থাকবে।

গত একমাস ধরে কংগ্রেসের অন্দরে যা ঘটছে তা থেকে কাটিয়ে উঠতে ক্ষমা এবং ভুলে যাওয়ার পথ অবলম্বন করা দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।

অর্থাৎ গত একমাস ধরে রাজস্থানে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তাতে জল ঢেলে নতুন করে শুরুর কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু একমাস পর শচীন পাইলটের এই আগমনকে কি ঘর ওয়াপসি বলা যায়? দলের হাই কম্যান্ডের সঙ্গে কোন সমঝোতায় হাঁটলেন তিনি?

তবে শচীন সহ ১৯ জন বিধায়ক ফিরে আসায় বিজপিকে টক্কর দিতে আরও সক্ষম হবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। এই মুহুর্তে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ৭২ জন বিধায়ক। আর সঙ্গে রয়েছে ৩ জন আরএলডি বিধায়কের সমর্থন।

সম্পর্কিত পোস্ট