মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার, ‘পুলিশের তোলাবাজি’ তে গড়ের মাঠ ব্যবসায়ীদের পকেট
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বছর খানেক আগে পুর্ব মেদিনীপুরের একটি প্রশাসনিক সভায় তোলা আদায়ের জন্য রাজ্য পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সেবার যথেচ্ছ তোলা আদায়ের অভিযোগ এনে প্রাক্তন ডিজিপি সুরজিত কর পুরকায়স্থের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের পর রাজ্যে তোলা আদায় থিতিয়ে পড়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তা আবার মাথাচাড়া দেয়।
সম্প্রতি এমনই অভিযোগে বিদ্ধ গোটা রাজ্য । অভিযোগ, মালদহ থেকে বর্ধমান অবধি বালি, পাথর বা কয়লা বোঝাই লরিকে টাকা দেওয়া নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
সূত্রের খবর, চলতি পথে মাল বোঝাই লরিকে পান্ডবেশ্বর থেকে শুরু করে ভিমঘর, দুবরাজপুর, সিউড়ি, মহম্মদ বাজার, রামপুরহাট, নলহাটি, মোড়গ্রাম, অমরপুর, ধুলিয়ান, ফারাক্কা থানাকে টাকা দিতে হয়।
অভিযোগ, সিভিক পুলিশ মারফত কোথাও কোথাও ৫০০, কোথাও ৭০০, কোথাও ১০০০ টাকা আদায় করে প্রত্যেকটি থানা৷
সূত্রের খবর, অত্যাধিক টাকা দিতে হয় ১৬ মাইল থানা, মালদহ ট্রাফিক, কালিয়াচক, ইংলিশ বাজার এবং ওল্ড মাইল থানাকে ডাক পাটির টাকা দিতে গিয়ে লভ্যাংশের একটা বিরাট অংশ তুলে দিতে হয় পুলিশের হাতে।
কোভিড টেস্টের ১০ দিন পর মিলল রিপোর্ট, স্রেফ শ্বাসকষ্টের জেরে মৃত্যু রোগীর
সবসমেত গাড়ি পিছু বালি বিক্রি করতে খবচ পড়ে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। আর সেই বালি কিনতে গিয়ে দিনের পর দিন চোরাবালি গ্রাস করছে আমজনতাকে।
সব মিলিয়ে প্রত্যেক লরি পিছু প্রায় ৩০ হাজার টাকা করে দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় ব্যবসায়ীদের। এমনকি করোনাকালেও এ থেকে মুক্তি মেলেনি।
পুলিশের এই নিত্য দিনের ঠেলায় ব্যবসায়ীদের পকেট গড়ের মাঠ। তার ওপর অবৈধভাবে বালি খাদান থেকে বালি তোলায় রয়েছে পুলিশের কড়াকড়ি। সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
এই ছবি শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ অথবা বর্ধমান জেলা নয়। গোটা রাজ্যে পুলিশের দৌড়াত্ম্যে ঘুম উড়েছে ব্যবসায়ীদের।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে সব্জির গাড়ি থেকেও টাকা আদায়ের কাজ। সেই টাকা ভরপাই করতে ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যার ফলে সব্জির বাজারও আগুন। ফসলের সঠিক দাম না পেয়ে রাস্তায় সব্জি ফেলে প্রতিবাদ করছেন চাষীরা।
সব্জি,মাছ, মাংস, খাবার, বালি, পাথর, কয়লা সমস্ত রকম ব্যবসায় পুলিশের তোলা আদায়ে অতিষ্ট আম জনতা। যা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ।
একদিকে পুলিশ প্লাজমা দিয়ে মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে তুলছে। অন্যদিকে পুলিশের অত্যাচারে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জিনিস কিনতে আধমরা মানুষ। এর থেকে সুরাহা মিলবে কবে? উঠছে প্রশ্ন।