অটল স্মরণে বিজেপি
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুদিবসে টুইটারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের একাধিক ছবি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি লেখেন, আজকের এই পুণ্যতিথিতে অটলজিকে জানায় শ্রদ্ধা। ভারতের অগ্রগতির ক্ষেত্রে অটলজির অবদান দেশ সারা জীবন মনে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত অটলজির অবদান কখনোই ভুলবে না। অটলজির নেতৃত্বে ভারত নিউক্লিয়ার ক্ষমতায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল।
রাজনৈতিক নেতা হিসাবে, সংসদের সদস্য হিসাবে অথবা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অটলজির অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অটলজির জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু বলা যেতে পারে। তবে অনেক কিছু বাদ পড়ে যেতে পারে। অটলজির সুচাগ্র বক্তৃতা নিয়ে বলা যেতে পারে।
ভবিষ্যতে যদি কেউ তার বক্তব্য নিয়ে গবেষণা করে তাহলে দেখা যাবে তিনি যতটা বলেছেন তার থেকেও বেশী সময় তিনি চুপ থেকেছেন।
সংসদের ভিতরেও কম সময় বক্তব্য রেখেছে অটলজি। কারণ চুপ থেকেই বহু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিতেন অটলজি।
ভিডিওর শেষের দিকে কিছু ছবিতে তরুণ নরেন্দ্র মোদিকে অটলজির থেকে আশীর্বাদ নিতে দেখা যাচ্ছে।
১৯২৪ সালে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিওরে জন্মগ্রহণ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার বিজেপি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু ১৩ দিনের মাথায় সরকার পড়ে যায়। ফের ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন অটলজি।
সেবারেও সরকার বেশীদিন টেকেনি। পরে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ অবধি ফের ক্ষমতায় আসেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। সরকার পক্ষ হোক অথবা বিরোধী পক্ষ প্রত্যেকবারেই ধারালো বক্তব্যের মাধ্যমে বিপক্ষকে কাবু করেছেন।
শুধুমাত্র একজন রাজনীতি অংশ হিসাবে থেকে যাননি। মাঝে মাঝে তার কলমও অনেক কথা বলে গিয়েছে। অনেক কবিতার মাধ্যমে সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ১৬ অগাস্ট মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিন অটলজির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং দেশভক্তির আর একটি রূপ ছিলেন ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও ছিলেন। যিনি বিজেপির অন্যান্য নেতাদের আরও উদ্বুদ্ধ করেছেন।